ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

এমআইএসটির অ্যাকাডেমিক-প্রশাসনিক ভবন উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
এমআইএসটির অ্যাকাডেমিক-প্রশাসনিক ভবন উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান

মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাসহ ফ্যাকাল্টি টাওয়ার ৩, ৪, অ্যাডমিন টাওয়ার এবং হল অব ফেমের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) ভবনগুলোর শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে এমআইএসটি’র প্রাক্তন কমান্ড্যান্টরা, সেনাবাহিনী সদর দফতরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসাররাসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) ১৯৯৯ সালে নতুন কোনও অবকাঠামো নির্মাণ ছাড়াই সেনাবাহিনীর নিজস্ব স্থাপনায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০ জন ছাত্র অফিসার নিয়ে মিরপুর সেনানিবাসে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে চারটি অনুষদের অধীনে ১৩টি বিভাগে ২ হাজার ৯১৭ জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাশাপাশি এমআইএসটিতে আটটি বিভাগে এমএসসি, তিনটি বিভাগে এমফিল এবং সাতটি বিভাগে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু আছে।

এমআইএসটির প্রতিটি অনুষদের বিপরীতে একটি করে স্বতন্ত্র টাওয়ার বিল্ডিংয়ে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করবে। উদ্বোধন করা ফ্যাকাল্টি টাওয়ারগুলোয় সর্বাধুনিক (স্টেট অব আর্টস) গবেষণাগার আছে, যা এমআইএসটি তথা বাংলাদেশের গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিশেষ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

হল অব ফেমের দেয়ালে সংরক্ষিত হয়েছে এমআইএসটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকগুলো, সব স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের নাম, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতাগুলোর উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলো।

এ ছাড়া সেনাপ্রধানের উদ্বোধনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করল এমআইএসটির পেট্রোলিয়াম ও লুব্রিকেটিং স্টেটিং ল্যাব, যা বাংলাদেশে ব্যবহৃত পেট্রোলিয়ামজাত জ্বালানির সঠিক মান নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। পরে তিনি সাইবার সিকিউরিটিতে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য নির্মিত সাইবার রেঞ্জ পরিদর্শন করেন।

উদ্বোধধিত প্রশাসনিক ভবনে ৪৫ হাজার বর্গফুটের এমআইএসটির সেন্ট্রাল লাইব্রেরি আছে। এই লাইব্রেরির একটি অংশে অ্যাকাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রায় চার হাজার বই নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ কর্নার স্থাপন করা হয়েছে, যাতে আগামী প্রজন্মের ইঞ্জিনিয়াররা জাতির জনকের জীবন-কর্মকাণ্ড ও স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে।  

একই সঙ্গে লাইব্রেরিতে আনুমানিক ২ হাজার ৫০০ বই নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষ ‘শেখ রাসেল আঙিনা’, যা শেখ রাসেল সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের জানতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।