ঢাকা: বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনের পুনর্ভোট আগামী ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দশম কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
এই নির্বাচনে আগের মতোই সিসি ক্যামেরা থাকবে। ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। এবার রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে। নির্বাচনে নতুন কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলের প্রয়োজন পড়বে না। এক্ষেত্রে যারা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন, তারাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণের পর সিইসি প্রথমে ৫০টি কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা ঘোষণা করেন। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তাও একটি কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেন। পরে ভোটগ্রহণের যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি। এরপর গঠিত তদন্ত কমিটি ৬৮৫ জনের শুনানি নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পায় ওই ৫১ কেন্দ্রে। এ ছাড়া অবশিষ্ট কেন্দ্রগুলোর সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখে অনিয়মের প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি।
পরে সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গাইবান্ধার এক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচ এসআই, নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বরখাস্তসহ বিভিন্ন শাস্তির সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। এই শাস্তি বাস্তবায়ন করে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে আগামী এক মাসের মধ্যে অবহিত করার নির্দেশও দেয় নির্বাচন কমিশন।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন- মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (বিকল্প ধারা), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র)।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি এই দুই উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসনটি গঠিত। এতে মোট ভোটার তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ফুলছড়ির সাতটি ইউনিয়নে ভোটার এক লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ জন এবং সাঘাটার ১০টি ইউনিয়নে দুই লাখ ২৫ হাজার ৭০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২২
ইইউডি/আরএইচ