ঢাকা: চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নিবন্ধনের শর্ত পূরণের তথ্য না দেওয়ার পাশাপাশি কোনো সাড়া না দেওয়ায় মোট ১৪টি দলকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দলগুলোকে তথ্য না দেওয়ার যথাযথ কারণ জানাতে বলা হয়েছে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে দলগুলোকে শোকজের চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা।
দলগুলো হলো- কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি।
এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ও গণতন্ত্রী পার্টি সময় পেরিয়ে গেলেও তথ্য দিয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) সময় চেয়ে আবেদন করলে তাদের আরও একমাস সময় দেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, নিবন্ধিত সব দলের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। ৩৯টি দলের মধ্যে ২১টি দল যথাসময়ে তথ্য দিয়েছে। চারটি দল সময় চেয়ে আবেদন করেছে। তাদের এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। আর ১৪টি দল সাড়া দেয়নি। তবে এগুলোর মধ্যে দুটি দল সময় শেষে তথ্য দিয়েছে। সেই দলকেও শোকজ করা হয়েছে।
শোকজের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৪টি দল যারা দিতে পারেনি, তাদের কাছে যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে। (দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি) বিদেশে থাকতে পারে, হয়তো সময় করতে পারেনি।
যারা সাড়া দেয়নি, তাদের নিবন্ধন হুমকির মুখে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, হুমকির মুখে বিষয়টি এমন নয়। নির্বাচন কমিশনের আইন আছে, তারা নিবন্ধনের শর্ত প্রতিপালন করছে কি না, তা দেখা হবে। নিবন্ধন বাতিলের উদ্দেশ্যে তো এগুলো করা হয় না। তবে যে সব শর্ত পালন করা কথা, সেগুলো যদি কেউ অবহেলা করে বা না করে, তাহলে ইসি তো তাদের অব্যাহত রাখতে পারে না। সেই রকম সিদ্ধান্ত তো নিতে হয়।
সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, ১৪টি দলকে সময় দেওয়া হয়নি। কারণ দর্শানো হয়েছে। যদি ব্যাখ্যা সন্তোষজনক হয়, তাহলে তো আর শাস্তি দেওয়া যায় না। এই জন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ব্যাখ্যা জানতে হয়। ব্যাখ্যা যদি সন্তোষজনক হয়, তাহলে ওকে। আর যদি না হয়, এক বছর ডিফল্ট হয়েছে- ধরা হবে। পরপর তিন বছর ডিফল্ট হলে নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে।
যারা সময়মতো তথ্য দিয়েছে, তাদের তথ্যগুলোও মাঠ পর্যায়ে যাচাই করা হবে দৈবচয়নের ভিত্তিতে। নিবন্ধিত পুরনো দল ঠিকমতো শর্ত পালন না করলে আমরা ওটা ফিল্ডে দেখব। নিবন্ধন বাতিলের শর্ত যদি পূরণ না করে, তাহলে তো বাতিল হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২২
ইইউডি/আরএইচ