ঢাকা: বিএনপির ছেড়ে দেওয়া জাতীয় সংসদের শূন্য ছয় আসনে উপ-নির্বাচনে প্রচারের সময় থাকছে ১৪ দিন। এক্ষেত্রে ১৬ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় পাবেন প্রার্থীরা।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বলেছেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ছয় আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনি আইন অনুযায়ী ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা পূর্বে প্রার্থীদের প্রচার বন্ধ করতে হবে। আর প্রচার শুরু হবে প্রতীক পাওয়ার পর।
ছয় আসনের ভোটে প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৬ জানুয়ারি। এই হিসেবে প্রার্থীরা প্রচারের সময় পাবেন ১৪ দিন।
এই সময়ের আগে পরে সকল ধরনের মিছিল, শোভাযাত্রা, সভাসহ অন্যান্য প্রচার কার্যক্রম থেকে দুরে থাকতে হবে। অন্যথায় নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ের প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবে ইসি।
এছাড়া মাঠে রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, যারা বিভিন্ন মেয়াদের জেলা-জরিমানা করতে পারেন। তাই রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রার্থীদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, আগামী ০১ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও ৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ৩ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ছয় জন, বগুড়া-৪ আসনে নয় জন, বগুড়া-৬ আসনে ১৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ছয় জন, চাপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে ছয় জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ১৩ জন মোট ৫৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এসব আসনের মধ্যে ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেয়নি।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৫ জানুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৫ জানুয়ারি এবং ভোটগ্রহণ করা হবে ১ ফেব্রুয়ারি। সবগুলো আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।
গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত সমাবেশ থেকে বিএনপির সাত এমপি পদত্যাগপত্র ই-মেইলে স্পিকারের কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানানো হয়।
এরপর প্রথমে ছয়জন ও পরে একজন স্পিকারের কাছে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেন। স্পিকার তাদের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করলে আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। তার ভিত্তিতে ইসি ছয় আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল দেয়। একটি সংরক্ষিত আসন বিধায় সেটির নির্বাচন নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত দেবে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সময় ১৮৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২২
ইইউডি/এসআইএস