ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

‘জামালপুরের ডিসির মতো প্রশাসন দিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
‘জামালপুরের ডিসির মতো প্রশাসন দিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না’ সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন। ফাইল ছবি

ঢাকা: সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, জামালপুরের ডিসির (জেলা প্রশাসক) মতো প্রশাসন দিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা যাবে না।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের উদ্দেশ্য তিনি এমন মন্তব্য করেন।

১/১১ সময়কার এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, জামালপুরের ডিসি বলেছেন আওয়ামী লীগ সরকারকে আবার চাই। তো এই ডিসিকে দিয়েই আপনাদের নির্বাচন করাতে হবে ইফ আই অ্যাম নট রঙ। সেই প্রেক্ষাপটে আপনারা টাফ অবস্থানে থাকবেন।

তিনি বলেন, যেই প্রেক্ষাপটের কথা বললাম, সেই প্রেক্ষাপটের এই প্রশাসন নিয়ে আপনারা নির্বাচন করতে পারবেন না। একটা বড় দল যদি নির্বাচনে না আসে, আরো তিনশ দল যদি (আসে) তবু নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে পারবেন না।

প্রতি ঘণ্টায় কত ভোট পড়েছে তার হিসেব রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ঢাকা-১৭ আসনে একজন প্রার্থীকে আমরা মারতে দেখলাম। এটা কীভাবে হলো। পলিটিক্যাল পার্টি সেন্টার পাহারা দেয়। কার ভোটার কে এরা জানে। এদের শনাক্ত করে পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ, এদের কারণে ভোটার ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে না।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রগুলো আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করছে, তাদের আমরা ডেকে এনেছি। যদি আমরা ঠিক থাকতাম তাহলে এমনটা হতো না। পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। যদি আমরা ব্যর্থ তাহলে এর মাশুল দিতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক দলীয়করণ ও তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা অনুপস্থিত। রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো সদিচ্ছা নাই। যেখানে জনগণ হচ্ছে প্রজাতন্ত্রের মালিক, সেখানে এ অবস্থায় মানুষের অধিকার উপেক্ষিত।

ক্ষমতা থাকার পরও গাইবান্ধা নির্বাচনে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি নির্বাচন কমিশন - এ মন্তব্য করে সাবেক এই সচিব বলেন, সেখানে পক্ষপাতের অভিযোগ করা হলে তা ভুল হবে না। পরামর্শগুলো গ্রহণ করেনি।  গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে তার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।  

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় অন্য নির্বাচন কমিশনার, সাবেক আমলা, সিনিয়র সাংবাদিকরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
ইইউডি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।