ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা কঠিন অবস্থার মধ্যে আছি। এখানে বিভিন্ন ধরনের সংকট আছে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, রাজনীতিকরা যদি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দেন, তাহলে আমাদের জন্য সহজ হবে। কেউ একজন বলেছেন, আমাদের জন্য ৩০ শতাংশ এবং ৭০ শতাংশ আমাদের জন্য নয়। এই রিয়েলিটি সবাইকে অনুধাবন করতে হবে। নির্বাচন ভালো হবে কি মন্দ হবে, সেজন্য পলিটিক্যাল উইল (রাজনৈতিক ইচ্ছা) থাকতে হবে। পলিটিক্যাল উইলটা পলিটিক্স থেকে আসতে হবে।
তিনি বলেন, সমালোচনা করা হচ্ছে যে, নির্বাচন কমিশনার নিজেই নিজের পায়ে কুড়াল মেরেছেন। বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, এই নির্বাচন কমিশনার আগে থেকেই মাথানত করে সরকারের সঙ্গে আপস করে ফেলেছেন। এটি মোটেও সত্য নয়। বলা হচ্ছে, এই নির্বাচন কমিশন আগেই সরকারের পক্ষ নিয়ে নিয়েছে। দ্যাট ইজ নট ট্রু (এটি সত্য নয়)। আমরা এতটা ভীতু নই।
এ সময় মিডিয়াকে সঠিক বক্তব্য তুলে ধরারও আহ্বান জানান সিইসি।
সাবেক এই আইন সচিব বলেন, সরকারি দল বলতে আইনে কিছু নেই। আমরা এটি মুখে বলে থাকি। একটি সরকার কিন্তু সব দলের, পুরো দেশকেই প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা অত্যন্ত আশ্বস্ত বোধ করছি যে, সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনটাকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। সেই প্রতিশ্রুতি কিন্তু সরকার দিয়েছে। আগে কিন্তু কখনো সরকার সেই প্রতিশ্রুতি দেয়নি। এই প্রথমবারের মতো সরকারই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আইমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, যোগাযোগমন্ত্রী সরকার শব্দটি বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীও স্পষ্টভাবে বেশ কয়েকবার বলেছেন যে, সরকার আগামী নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বারবার বলেছি একটি সমঝোতার কথা, চায়ের টেবিলে আপনা বসুন। পলিটিক্যাল কালচার এমন হয়েছে, কেউ কারো সঙ্গে বসতে চাচ্ছেন না। ইসি এ সমস্যার সমাধান করে না। দেশজ পদ্ধতিতে (সমাধান) এটি হতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক, সে ধরনের সিভিল সোসাইটি দেখতে পাচ্ছি না।
বৈঠকে তিন নির্বাচন কমিশনার, সাবেক আমলা ও সিনিয়র সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
ইইউডি/আরএইচ