ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

সংসদ নির্বাচন: ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী হলেন ইউএনও

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৩
সংসদ নির্বাচন: ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী হলেন ইউএনও

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব জেলা প্রশাসককে রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল তফসিল ঘোষণার পর এমন তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিটার্নিং অফিসারের বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঘোষণা করেছেন ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার থাকবেন। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরের জন্য বিভাগীয় কমিশনার, এ ছাড়া ৬৪ জেলার জন্য ৬৪ জেলা প্রশাসক রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

দেশের ৪৯৫ উপজেলার নির্বাহী অফিসাররা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া মহানগর এলাকা, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা এবং যেসব উপজেলা একাধিক আসনে বিভক্ত, সেগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন কর্মকর্তারা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

ইসি সচিব বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ৪৯৫ জন, থানা নির্বাচন অফিসার ৫৬ জন, স্থানীয় সরকারের (ডিডিএলজি) উপ-পরিচালক ১৪ জন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আটজন, সিটি করপোরেশনের জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসার ১১ জন, ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার পাঁচজন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) দুজন এবং সার্কেল অফিসার (উন্নয়ন) একজন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেলা নির্বাচন অফিসাররা নির্বাচনের সহায়ক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

সংসদ নির্বাচন: অপেক্ষা তফসিলের, রিটার্নিং কর্মকর্তা পদে প্রাধান্য পাবেন ডিসিরা

যারা নির্বাচনে না আসার ঘোষণা দিয়েছে, তাদের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না - এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার বহির্ভূত বিধায় আজকের সভায় কোনো আলোচনাই হয়নি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আজ ২৬তম সভায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করে। সেখানে কত তারিখে ভোটগ্রহণ শুরু হবে, সব বলে দেওয়া হয়েছে। কারা কারা রিটার্নিং কর্মকর্তা হবেন, কারা প্রিজাইডিং অফিসার হবেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন, নির্বাচন কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১ থেকে ১৮টি নির্দেশনামূলক পরিপত্র জারি করতে হয়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেগুলো কখন-কীভাবে জারি করতে হবে, কীভাবে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করবেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটেরা দায়িত্ব পালন করবেন, এসব বিষয়ে কমিশন আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে। তার আলোকে আমরা দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পরবর্তী কার্যক্রম নেব।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাংগীর আলম বলেন, আমরা তফসিল ঘোষণা করেছি। তফসিল অনুযায়ী রাজনৈতিক দল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের প্রার্থিতা ঘোষণা করবে, প্রার্থীরা মনোনয়ন দাখিল করবেন, বাছাইয়ে উন্নীত হবেন, প্রচারণায় যাবেন। তখন থেকে পদপ্রার্থীদের সব ধরনের সমতল অবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালন করতে পিছপা হবে না।

পুনঃতফসিলের কোনো সম্ভাবনা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যৎ কী হবে, সে প্রশ্ন যদি আজ আমাকে করেন। ...নির্বাচনের অনেকগুলো ধাপ আছে। সব কার্যক্রম ধাপে ধাপে করা হয়। আপনারা বলছেন নির্বাচনকালীন বিষয়। এখন নির্বাচনের আগের সময়। তফসিলের সময় থেকে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত যখন যেটা প্রয়োজন হবে, কমিশন তখন সেই কার্যক্রম নেবে।

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৩
ইইউডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।