ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সিলেট-২: আদালত থেকে ভোটের মাঠে মুহিবুর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
সিলেট-২: আদালত থেকে ভোটের মাঠে মুহিবুর

সিলেট: উচ্চ আদালতের রায়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে ভোটে ফিরলেন পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. ইকবাল কবির এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্টে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

এর ফলে সিলেট-২ আসনে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী সংখ্যা এখন সাতজন।

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করে প্রার্থী হয়েছিলেন মুহিবুর রহমান। গত ৩ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইকালে তার মনোনয়ন বাতিল করেন রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান। প্রার্থিতা ফিরে পেতে গত ১০ ডিসেম্বর মুহিবুর রহমান নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। কিন্তু পাঁচ দিন পর আপিল খারিজ করে দেয় ইসি।

এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মেয়র মুহিবুর রহমান। গত ২০ ডিসেম্বর রিট শুনানির ধার্য তারিখে রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল আমীর উদ্দিন অংশ নিয়ে রিটের বিরোধিতা করেন। পরে বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও ইকবাল করিমের যৌথ বেঞ্চ রিটের আদেশের জন্যে আগামী ২৭ ডিসেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। ধার্য তারিখের দুই দিন আগেই রোববার রিটের আদেশ দেন হাইকোর্ট। মুহিবুর রহমানের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে অংশ নেন ড. শাহদীন মালিক।

এর আগে শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে মুহিবুর রহমান বলেন, আমার মনোনয়ন বৈধ ছিল। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা বাছাইকালে মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছেন। দেশের প্রচলিত আইন আনুযায়ী আমার মনোনয়ন বৈধ্য হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচন কমিশন এক সপ্তাহ ঝুলিয়ে রাখে এরপর বাতিল করে। এটা একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে ইসির অন্যায়মূলক আচরণ।

আগামী ২৭ ডিসেম্বর আপিলের রায় ঘোষণার কথা থাকলেও সেদিন পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয়নি সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মেয়র মুহিবুর রহমানের। ধার্য তারিখের ৩ দিন আগেই প্রত্যাশিত রায় পেলেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
এনইউ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।