ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

পটিয়ার ওসিসহ ৯ পুলিশ প্রত্যাহারের দাবি নৌকার প্রার্থীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩
পটিয়ার ওসিসহ ৯ পুলিশ প্রত্যাহারের দাবি নৌকার প্রার্থীর

ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১২ আসনের নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-ওসিসহ (তদন্ত) নয় পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত, একাদশ জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর পক্ষ হয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তারা হয়রানির করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর আবেদনটি ইসির প্রাপ্তি ও জারি শাখায় জমা দিয়েছেন।

‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে জরুরিভিত্তিতে পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত), এসআই ও এএসআইদের বদলি’ সংক্রান্ত আবেদন তিনি উল্লেখ করেছেন, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য প্রার্থী। আমি অনুভব, পর্যালোচনা, পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, আমার আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মো. সামশুল হক মহান জাতীয় সংসদের হুইপ এবং বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী। পটিয়া থানা থেকে সদ্য প্রত্যাহার হওয়া ওসি স্থানীয় এমপির আত্মীয় নেজাম উদ্দিন চলে গেলেও বর্তমানে তার অনুগত এসআই ও এএসআই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভুমিকা রাখছেন। তারা হলেন- পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোলাইমান, এসআই সনজয় ঘোষ, মো. আসাদুর রহমান, রতন কান্তি দে, আকরাম হোসেন সুমন, শিমুল চন্দ্ৰ দাস, জিয়া উদ্দিন, এএসআই মো. ফয়েজ আহমদ, এএসআই অনুপ কুমার। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর পক্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের ঘরে ঘরে গিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। পটিয়া থানা থেকে প্রত্যাহার হওয়া নেজাম উদ্দিনের কথা মতো এসব অফিসাররা নৌকার সমর্থিত লোকজনকে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে।

গত ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ডিএম জমির উদ্দিনকে আইসিটি মামলায় জামিন থাকার পরও গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরবর্তীতে বাদী আপসনামা দিয়ে মুক্ত হলেও আদালত হতে বের হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে পরিদর্শক মো. সোলাইমানের নির্দেশে সম্প্রতি কাশিয়াইশে একটি ঘটনার মামলায় এজাহারমুক্ত না হওয়া স্বত্বেও এসআই সনজয় ঘোষের নেতৃত্বে মো. জমির উদ্দিনকে পুনরায় আদালত চত্বর থেকে গ্রেপ্তার দেখায়। মিথ্যা একটি মামলায় কুসুমপুরা ইউনিয়নের নৌকার সমর্থক আবদুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোলাইমান, এসআই মো. আসাদুর রহমান, রতন কান্তি দে, আকরাম হোসেন সুমন, শিমুল চন্দ্র দাস, সনজয় ঘোষ, জিয়া উদ্দিন, এএসআই মো. ফয়েজ আহমদ, এএসআই অনুপ কুমারকে বদলি করা জরুরি।

গত ৭ ডিসেম্বর হুইপ সামশুল হকের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ এনে ওসি নেজাম উদ্দিনকে প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছিলেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর। সম্প্রতি নেজাম উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: হুইপ সামশুলের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ, ওসির বদলি চান নৌকার প্রার্থী

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩
ইইউডি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।