ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

আসন

শরীয়তপুর-২: নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩
শরীয়তপুর-২: নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

শরীয়তপুর: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে নৌকার প্রার্থী এ কে এম এনামুল হক শামীমের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোরে নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের বাহের কুশিয়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা ওই অস্থায়ী ক্যাম্পটিতে আগুন দেয় বলে জানা গেছে।

 

আগুনে নৌকা প্রতীকের একটি ব্যানার, ১০টি চেয়ার ও ক্যাম্পটির চারপাশের প্যান্ডেলের কাপড় পুড়ে গেছে। এছাড়া ভূমখাড়া ইউনিয়নের গোড়াগাঁও এলাকায় নৌকা প্রতীকের আরেকটি ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লিটন মোল্যার রাহাপাড়ার বাড়ির সামনে দুইটি ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।  

পুলিশ ও আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন যুবলীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য খালেদ শওকত আলী।  এছাড়া আরও আটজন প্রার্থী আসনটিতে নির্বাচন করছেন। গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ১০ নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনায় নড়িয়া থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়েছে।  

নড়িয়া-ঘড়িসার সড়কের বাহিরকুশিয়া এলাকায় সড়কের পাশে প্যান্ডেল করে নৌকা প্রতীকের একটি অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। শুক্রবার ভোরের দিকে দুর্বৃত্তরা ওই ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয়। দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে ক্যাম্পের একটি অংশের কাপড়, নৌকা প্রতীকের ব্যানার ও ১০টি চেয়ার পুড়ে যায়। ওই সময়ে নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ঘড়িসার ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের সমন্বায়ক লিটন মোল্যার রাহাপাড়া গ্রামের বাড়ির সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। শুক্রবার ভোরে ভূমখারা ইউনিয়নের পোড়াগাঁও এলাকায় নৌকা প্রতীকের আরেকটি নির্বাচনী ক্যাম্পের কাপড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলার কারণে ওই ক্যাম্পের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লিটন মোল্যা বলেন, আমাকে ভয় দেখাতে ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে আমার বাড়ির সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আমার ইউনিয়নের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে আমরা ভীত নই। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে।  

ভূমখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, দুর্বৃত্তরা আমার ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকের একটি ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন দ্রুত নিভিয়ে ফেলায় বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।  

এ ব্যাপারে অভিযোগ করে নৌকার প্রার্থী এ কে এম এনামুল হক শামীমের নির্বাচনী প্রচারণা কমিটির প্রধান সমন্বায়ক নড়িয়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঈগল প্রতীকের সমর্থকরাই বিএনপি-জামায়াতের মতো আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে এ নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেছে। তবে জনগণ সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে নৌকাকে বিজয়ী করার মাধ্যমেই এই আগুন সন্ত্রাসের জবাব দেবে। ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলী তার নিশ্চিত পরাজয় জেনে নির্বাচন বানচাল করার জন্য নৌকা প্রতীকের ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলীর বক্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যাই। কে বা কারা কী উদ্দেশে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।