ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ভোটের প্রচারে বাধা নেই দাবি ড. বিশ্বজিতের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩
ভোটের প্রচারে বাধা নেই দাবি ড. বিশ্বজিতের

ঢাকা: নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেছেন, ভোটের প্রচারে অংশ নিতে আইনগতভাবে তার কোনো বাধা নেই।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) খুলনা-৫ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত আকারে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।

এর আগে শনিবার তার বিরুদ্ধে সরকারি সুবিধাভোগী হওয়া সত্ত্বেও ভোটের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান কমিটির সিনিয়র সহকারী জজ।

ড. বিশ্বজিৎ চন্দ জবাবে লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ (সর্বশেষ সংশোধনীসহ) এর বিধি ২(১১) অনুযায়ী আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তির আওতাভুক্ত নই। উল্লেখ্য যে, আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হওয়ায় আমার চাকরির শর্তাবলী দি রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট-১৯৭৩ এর আওতাধীন। দি রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট-১৯৭৩ এর  ৫৫(২) ধারা অনুযায়ী, আমার রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কোনো বাধা নেই।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আদেশ-১৯৭৩-তেও এমন কোনো বিধি-নিষেধ নেই এবং ওই আদেশের আওতায় প্রণীত ‘বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (কর্মচারী) চাকুরী প্রবিধানমালা, ১৯৮৭’ এর বিধি ২ (ক) অনুযায়ী প্রবিধানমালাও আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

আরও উল্লেখ্য যে, আমি উল্লিখিত নির্বাচনী কার্যক্রমে গাড়িসহ ইউজিসির কোনো সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছি না।

সিনিয়র সহকারী জজ রত্না সাহার দেওয়া কারণ দর্শানো নোটিশে বলা হয়েছিল, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা -৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন জেলা প্রশাসক, খুলনা ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় বরাবর আপনার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে লিখিত অভিযোগটির আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এই কমিটির নিকট প্রেরিত হয়। অভিযোগ অনুযায়ী আপনি সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তি হওয়া স্বত্বে ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া, ফুলতলা ও গিলাতলা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের পক্ষে প্রচারণায় সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করেন, যা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এ অবস্থায় আপনার অনুরূপ কাজের কারণে আপনার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন নির্বাচন কমিশন বরাবর সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে না আগামী ৩১ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় সময় আপনি নিজে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক বিশ্বজিৎ নৌকার প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্রের ছেলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩
ইইউডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।