নীলফামারী: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নীলফামারীর চারটি সংসদীয় আসনে ভোটারদের উপস্থিতি একেবারেই কম। শীতের সকালে দুয়েকজন করে ভোট দিতে এলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে উপস্থিতি।
কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আসনগুলোয় শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ ভোট পড়তে পারে।
নীলফামারী-৪ আসনের কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সাত প্রার্থী ভোটের লড়াই করলে মাত্র তিনজনের এজেন্ট মাঠে রয়েছে।
সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সৈয়দপুর সরকারি কলেজ, নিয়ামতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজারীহাট স্কুল ও কলেজ, চওড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কোথাও সারিবদ্ধ লাইন দেখা যায়নি। দুয়েকজন করে ভোটার এসেছেন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে।
নীলফামারী-২ আসনে শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে কেন্দ্রগুলোয় ভোটার নেই। সকাল ১০টায় রামগঞ্জ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে নারী ও পুরুষ ভোটারের উপস্থিতিও ছিল খুবই কম। টুপামারী দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়, লক্ষ্মীচাপ উচ্চ বিদ্যালয় ও আকাশ কুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটারদের উপস্থিতি অনেক কম দেখা যায়।
ভোট সুষ্ঠু করতে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রগুলোয়। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সকাল সাড়ে ১০টায় এ আসনের চারবারের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর ভোট প্রদান করেন। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উদয়ন বিদ্যাপীঠ কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।
বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে আনসার সদস্যদের বেকার বসে থাকতে দেখা গেছে।
নীলফামারী-১ ও ৩ আসনেও ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। প্রার্থী সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সকাল থেকে প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে ভোটাররা কেন্দ্রে আসেনি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বেড়েছে।
ভোটাররা বলেছেন, ভোটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক, তবে ভোটাধিকার প্রয়োগের তাদের আগ্রহ কম। অনেকেই প্রাত্যাহিক কাজে ব্যস্ত। অনেককে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৪
এমজে