ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ফরিদপুরের চার আসনের দুটিতে নৌকা, দুটিতে স্বতন্ত্রের জয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৪
ফরিদপুরের চার আসনের দুটিতে নৌকা, দুটিতে স্বতন্ত্রের জয়

ফরিদপুর: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (০৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এ ভোটগ্রহণ চলে।

পরে ভোট গণনা শেষে রাতে ফল ঘোষণা করেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. কামরুল আহসান তালুকদার।

এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন ফরিদপুর-১ (মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা) আসন থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৩১ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন। তিনি পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৯৮৯ ভোট।

ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসন থেকে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৮৭ হাজার ১৯৪ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া। তিনি পেয়েছেন ৮৫ হাজার ২৩২ ভোট।

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসন থেকে জয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হক। তিনি পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৯ ভোট।

ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর-আলফাডাঙ্গা) আসন থেকে জয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কাজী জাফর উল্ল্যাহ। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬ ভোট।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করেন। এছাড়া যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিল।

ফরিদপুর রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, ফরিদপুরের চারটি আসনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৬৫৪টি। পুরো নির্বাচনি এলাকায় ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাইতো বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।

তিনি জানান, চারটি আসনে ৩৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১০ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চারজন জজ দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া পুলিশ, আনসার, বিজিবির পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী ও র‌্যাব টহলে সার্বক্ষণিক কাজ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২৪
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।