ঢাকা: ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) শুনানিতে এসে ক্ষমা চেয়েছেন নতুন মন্ত্রিসভার ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার অভিযোগের ব্যাখ্যা শেষে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ সরকারে আইন রয়েছে, সংবিধান রয়েছে এবং আমি আইনে ঊর্ধ্বে নই। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অতএব বিধান অনুসারে আমাদের ইসি থেকে তারা আমাকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেছেন। আমি উপস্থিত হয়েছি। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার যতটুকু বিশ্বাস মেজর কোনো অপরাধ যদিও নাওবা থাকে তারপরেও আমি বলেছি, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। অতএব ক্ষমাশীল দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রেখে আমি কথা শেষ করে চলে এসেছি। কমিশন বলেছে, আমরা দেখবো বিষয়টি, এটা তাদের বিষয়। আমি তো বলতে পারি না যে, আমাকে রেজাল্ট দেন।
ভালো নির্বাচন হয়েছে, সব জায়গায় প্রশংসা হয়েছে, আপনার এ কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ বিব্রত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ফরিদুল হক খান বলেন, না, আওয়ামী লীগ বিব্রত না, কেউ বিব্রত না।
প্রকাশ্যে ভোট দেওয়া কি আপনার অপরাধ ছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতটুকু বলার আমি বলেছি আপনাদের। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার কোনো সুযোগ নেই এখানে।
এর আগে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন জামালপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য (এমপি) ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যে ভোট দেন। এর খবর প্রচারিত হয়। বিষয়টি কমিশনের দৃষ্টিগোচর হলে ১১ জানুয়ারি তাকে ব্যাখ্যা তলব করে ইসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৪
ইইউডি/এএটি