টাঙ্গাইল: সংসদ সদস্যরা (এমপি) কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, একজন সংসদ সদস্য তার নির্বাচনী এলাকায় অবশ্যই যেতে পারবেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে প্রথম ধাপে টাঙ্গাইল জেলার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে কেন্দ্রে নির্বাচন হবে, সেখানে যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে অথবা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকে, তাহলে সেখানে যে প্রিজাইডিং অফিসার আছেন, তিনিই নির্বাচন বন্ধ করতে পারবেন। তিনি যদি কোনো কারণে বন্ধ করতে না পারেন অথবা কারো সঙ্গে তার আঁতাত হয়ে যায় যে বন্ধ করব না, সেক্ষেত্রে আমাদের যারা রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার থাকবেন, তারাই বন্ধ করতে পারবেন। আর এমন যদি হয়, উপজেলা নির্বাচনের কোনো কেন্দ্রেই নির্বাচন সুষ্ঠু করা যাচ্ছে না, তাহলে পুরোটাই বন্ধ করে দিতে পারবে নির্বাচন কমিশন।
যদি কোনো প্রার্থী বা তার সমর্থক অন্য কোনো প্রার্থী বা সমর্থককে আক্রমণ করেন, আগুন জ্বালিয়ে দেন বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেন, যেগুলোকে ফৌজদারি অপরাধ বলে, সে বিষয়ে শাস্তি আরও কঠিন হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচনী আচরণবিধি যথেষ্ট না, আরও নির্বাচনী আইন আছে। সেই আইনের অধীনে ফৌজদারি অপরাধগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের অফিসার এবং পুলিশও মামলা করতে পারবেন। আমাদের অনুমতির প্রয়োজন হবে না। এ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাই থাকবে, শুধু সেনাবাহিনী থাকবে না। সেনাবাহিনী শুধু জাতীয় নির্বাচনে রাখা হয়। জাতীয় নির্বাচন সারা দেশে একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়। সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কম থাকে, সেজন্য সেনা মোতায়েন করা হয়। উপজেলা নির্বাচন কয়েকটি ধাপে হবে। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এ নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরি সদস্য আমরা অনুমোদন দিয়েছি, যোগ করেন ইসি আলমগীর।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম। এসময় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মতিউর রহমানসহ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর উপজেলার চেয়ারম্যান, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
এসআই