ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নড়িয়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আহত ২০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
নড়িয়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আহত ২০

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুপক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়।

 

বুধবার (৯ মে) সন্ধ্যায় ও মধ্য রাতে উপজেলার নশাসন ইউনিয়নের ডগ্রী বাজার ও মাদবরকান্দিতে সহিংসতার ঘটনা ঘটে।  

এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।  

আহতরা হলেন- উপজেলার নশাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন তালুকদার (৬০), মাহবুব ফকির (৩৫), নুরুজ্জামান হাওলাদার (৪৫), আব্দুর রহমান ঢালী (২৫), লুৎফা বেগম (৫৫) ও মাহিম মাদবর (১০) প্রমুখ।  

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার নড়িয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়। সেই নির্বাচনে একেএম ইসমাইল হক মোটরসাইকেল প্রতীক ও মামুন সিকদার ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। উপজেলার নশাসন ইউনিয়নের উদয়তারা ভোটকেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে দেখা যায়, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ১৩০ ভোট বেশি পেয়েছেন। এছাড়া নশাসন ইউনিয়নের তিনটি কেন্দ্রে মোটরসাইকেল প্রতীক জয়ী হন। ভোট বেশি পাওয়ায় ইসমাইল হকের সমর্থক নশাসন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আমীন রতন ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন স্থানীয় ডগ্রী বাজারে আনন্দ মিছিল বের করে। পরে বিকেল ও রাতে মামুন সিকদারের সমর্থক নশাসন ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন তালুকদার ও তার লোকজনের সঙ্গে ইসমাইল হকের সমর্থকদের ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়। দুপক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন তালুকদারসহ দুপক্ষের অন্তত আটজন আহত হন। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল, জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।  

গুরুতর আহত দেলোয়ার, মাহবুব ও নুরুজ্জামানকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। পরে রাতে উভয়পক্ষের ১০-১৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।  

বিজয়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হকের সমর্থক আনোয়ার হোসেন লিটন হওলাদার বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান প্রার্থী একেএম ইসমাইল হক বিজয়ী হওয়ায় আমরা আনন্দ মিছিল বের করি। মিছিলটি ডগ্রী বাজারে যায়। পরে দেলোয়ার চেয়ারম্যানের লোকজন মিছিলে বাধা দিলে দুপক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।

তিনি আরও বলেন, রাতে আমাদের পক্ষের নূরুল আমীন রতন ভাইকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরে আমাদের জাহাঙ্গীর মাদবর, হাবিব মাদবর, হাসান মাদবরসহ ১০-১৫ জনের ঘর ভাঙচুর চালায় দেলোয়ার তালুকদারের লোকজন।

পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুন সিকদার (ঘোড়া প্রতীক) বলেন, ইসমাইল হকের সমর্থকরা মিছিল বের করে আমার পক্ষের ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের বাড়ি ভাঙচুর করে। এছাড়া তারা দেলোয়ার হোসেন তালুকদারসহ ৩-৪ জনকে হামলা করে আহত করেছেন।  

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নয়জনকে আটক করা হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।