নোয়াখালী: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টায় নোয়াখালীর চাটখিল, সোনাইমুড়ী ও সেনবাগ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এর মধ্যে দুপুর ১২টায় চাটখিল উপজেলায় আনারস প্রতীকের প্রার্থী জেড এম আজাদ খান কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, অনিয়ম, কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলন করে জেড এম আজাদ খান অভিযোগ করেন, ব্যালটে আগে সিল মারার কয়েকটি ভিডিও রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের লোকজনকে পাঠিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। শুধু সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা চেয়েও পাইনি।
এ নির্বাচন বাতিল করে নতুন করে আবার ভোট করার দাবি জানান তিনি।
আজাদ খানের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরকে একাধিকবার ফোন কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অপরদিকে দুপুর দেড়টার দিকে একই অভিযোগে প্রার্থী জেড এম আজাদ খান বাড়ির সামনে চাটখিল-সোনাইমুড়ী সড়ক অবরোধ করে জুতা মিছিল করেন তার সমর্থকরা।
প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রেখে পুনর্নির্বাচন চাওয়া হয়।
প্রার্থীর অভিযোগ ও ভোট বর্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম আরা বলেন, ভোট বর্জন প্রার্থীর একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে কিছু বলার নেই। তবে একটি কেন্দ্রে আগে যে কয়টি ব্যালট পেপারে সিল মারা পাওয়া গেছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া কোনো কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া কিংবা ভুয়া এজেন্ট বসিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ কেউ তার কাছে করেননি। প্রার্থী যেসব অভিযোগ করেছেন, সেগুলোর ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যোগ করেন শামীম আরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৪
এসআই