ঢাকা: জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নামে কোটা নয়, সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে সত্যিকারের নারী প্রতিনিধিত্ব চান নারী নেত্রীরা।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তারা।
সাংবাদিক আয়েশা কবির বলেন, ভোটার ও প্রার্থী হিসেবে নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আমরা বলেছি। নির্বাচনে জেন্ডার সংবেদনশীলতা বিষয়টি নজর দেওয়া উচিত। এ ছাড়া আমরা সত্যিকারের নারী প্রতিনিধিত্ব চাই। আামরা কোটা ভিত্তিক আসন চাই না।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহ-সভাপতি রেখা চৌধুরী বলেন, নির্বাচনে নারীদের সুযোগ বাড়ানোর বিষয়ে মতামত দিয়েছি। মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা বলেছি, সংসদের নারী আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫০ করা হোক। এতে প্রতি দুই আসনের জন্য একটি নারী আসন করা হোক এবং সেখানে সরাসরি নির্বাচন হোক। এই দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নারীরা সরাসরি নির্বাচন চেয়েছেন। অনেকে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি চেয়েছেন। নারীবান্ধব নির্বাচন হতে হবে। ইসি ও ইসি কর্মকর্তাদের এক-তৃতীয়াংশ নারী হতে হবে। দলীয় কার্যক্রমে নারী ৩৩ শতাংশ নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া নির্বাচনী ব্যয় সংকোচন, নারী আসন ১৫০টি আসন করার জন্য বলেছেন। কেউ কেউ ১০০টি আসনের কথাও বলেছেন। অনেকে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চেয়েছেন।
অন্যদিকে পিছিয়ে নারীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ, জেন্ডার সংবেদনশীলতা নিশ্চিতকরণ, প্রচরণায় শিশু নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতে নারীদের দলীয় মনোনয়ন প্রদান ও ভোটে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও এসেছে। তারা বলেছেন, নারীদের টেবিলে (সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া) স্থান দিতে হবে। বাইরে রাখা যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
ইইউডি/এমজেএফ