ঢাকা: নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিষয়ে নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, আওয়ামী লীগ এবং আরও যারা জোটের মধ্যে আছে ১০/১২টা; ওটা নিয়ে তো সিরিয়াস বিতর্ক চলছে, আছে। অপেক্ষা করছি, ফয়সালাটা কী আসে দেখি; তাহলে সেইভাবে আমরা ব্যবস্থা নেব।
রোববার (২৪ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বর্তমানে নিবন্ধিত দল আছে ৫০টির মতো। সরকারের সঙ্গে আলোচনায় ১০ থেকে ১৫টি দল জায়গা পাচ্ছে, আওয়ামী লীগসহ বাকি যে নিবন্ধিত দল আছে, সেগুলো নিয়ে আপনার ভাবনা কী—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমাদের এই কমিশনের কিছু অ্যাডভান্টেজ আছে। যেটা আগের তিন কমিশনের ছিল না। এর কারণ কী জানেন—যেহেতু সরকারে কোনো দল নাই। প্রধান উপদেষ্টার কোনো এজেন্ডা নাই। চাপ নাই, এটা আমাদের জন্য একটা বিরাট রিলিফ। দ্বিতীয় আরেকটা বিষয় হচ্ছে—রাজনৈতিক দলগুলো তো ১৫ বছর থেকে বলছে ভোটের অধিকার চাই। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। এই যুদ্ধ করছে ১৫ বছর ধরে। তারা জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ। আমরা শুধু বলব—আপনারা ১৫ বছর যে জিনিসটার জন্য আন্দোলন করেছেন, সংগ্রাম করেছেন, আমরা এই কাজটা করতে চাই। আমাদের সঙ্গে আসেন। ওরা তো আমাদের না করতে পারবে না। কেননা, এটার জাতির সঙ্গে তাদের ওয়াদা। লাস্ট ১৫ বছর ধরে তারা অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ছোট বড় ব্যাপার না। প্রত্যেক দলেরই তো ভোটের অধিকার থাকবে। আমাদের সংস্কার কমিশনগুলো তো কাজ করছে। তারা তো একটা সুপারিশ দেবে। তারা সুপারিশ দেওয়ার পরে বিবেচনা করে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে যেটা দাঁড়ায়, সেটা হবে। আর বড় পার্টি, আওয়ামী লীগ এবং আরও যারা জোটের মধ্যে আছে ১০/১২টা; ওটা নিয়ে তো সিরিয়াস বিতর্ক চলছে, আছে। আপনারাও দেখছেন, আমরাও দেখছি। এই বিতর্কের ফয়সালাটা হোক। ভোটের আরও দেরি আছে তো। আজ কাল পরশু তো হচ্ছে না। সুতরাং আওয়ামী লীগের ব্যাপারটা ফয়সালা হয়ে যাক। আমরাও অপেক্ষা করছি, ফয়সালাটা কী আসে দেখি। তাহলে সেইভাবেই আমরা ব্যবস্থা নেব। এই মুহূর্তে বিগত সরকারি দল এবং তার সহযোগী যারা ছিল, মন্তব্য করা সম্ভব নয়। এটা জাতিগতভাবে ফয়সালার ব্যবস্থা হোক। সময় আসলে আপনারা দেখতে পারবেন।
এ সময় অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
ইইউডি/এমজেএফ