ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ পৌষ ১৪৩১, ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ রজব ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বাড়ি বাড়ি ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হতে পারে ২০ জানুয়ারি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
বাড়ি বাড়ি ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হতে পারে ২০ জানুয়ারি

ঢাকা: আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলমান হালনাগাদ কার্যক্রমের মধ্যেও আগাম এক বছরের তথ্য নেওয়া হতে পারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে, যা গত দুই বছর হয়নি। বর্তমানে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে, যা ৫ জানুয়ারি শেষ হবে। এরপর তারা তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রশিক্ষণ দেবে৷ এসব প্রক্রিয়া শেষে আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়িবাড়ি যাবে যাবে ইসি।

২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের তথ্যই সংগ্রহ করা হবে। এভাবে তথ্য নেওয়ার পর খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের ২ জানুয়ারি। আর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে একই বছর ২ মার্চ।

সর্বশেষ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে ২০২২ সালে। সে সময় ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ সালের তথ্য একসঙ্গে নেওয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে যারা ১৮ বছর পূর্ণ করেছেন তাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ২ জানুয়ারি।

সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার রয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, প্রতি বছর ১ জানুয়ারি অনুযায়ী হালনাগাদ ভোটার তালিকা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ১৭ লাখ তথ্য আমাদের হাতে আছে, যেটা ২ জানুয়ারি ২০২৫ সালে আমরা সন্নিবেশ করব এবং তারা নতুন ভোটার হিসেবে তালিকায় যুক্ত হবেন। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে এই তথ্যটা পূর্ণাঙ্গ হয় না। কারণ, অনেকেই অফিসে এসে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন না। আনুমানিক ৪৫ লাখ হতে পারতো এই সংখ্যাটা। আমাদের হাতে যে ১৭ লাখ তথ্য আছে তার মধ্যে ১৩ লাখ আমরা ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিলাম। আর বাকি চার লাখ আমাদের বিভিন্ন অফিসে এসে এই বছরে নিবন্ধন করেছে৷ অর্থাৎ আমাদের ধারণা ২৭ থেকে ২৮ লাখ ভোটার, কম-বেশি হতে পারে, যারা কিন্তু ভোটার হওয়ার যোগ্য।

তিনি আরও বলেন, যারা বাদ পড়লেন আমরা চাই তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হোক।  এজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করব। এই বাদ পড়া ভোটাররা ছাড়াও ২০২৫ সালে যারা ভোটার হবেন অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন তাদের তথ্যও আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করব।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
ইইউডি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।