ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

মুক্তিজোট নিয়ে কাড়াকাড়ি, পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৫
মুক্তিজোট নিয়ে কাড়াকাড়ি, পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে ইসি

ঢাকা: বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট নিজেদের দাবি করে তিনটি গ্রুপ লড়াইয়ে নেমেছে। ফলে কারও হাতেই দলটির নেতৃত্ব না দিয়ে প্রয়োজনীয় প্রমাণ দেখাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (২১ এপ্রিল) তিন গ্রুপের শুনানিতে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জানা গেছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুনানিতে মুক্তিজোট নিজেদের দাবি করা তিন গ্রুপকে ডাকা হয়। এ সময় আবু লায়েস মুন্না নিজেকে সংগঠন প্রধান; ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ নিজেকে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান ও এ আর এম রাজু শিকদার নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা সংগঠন প্রধান হিসেবে দাবি করেন। তাদের বক্তব্য শোনার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের সিদ্ধান্ত দেন কমিশন।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ বলেন, তিনটি গ্রুপই নিজেদের সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের নেতৃত্ব দাবি করেছে। এক্ষেত্রে আমরা তাদের বক্তব্য শুনেছি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে বলা হয়েছে। তারা কাগজপত্র দাখিল করলে পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।

অতীতেও বিভিন্ন দলের নেতৃত্ব নিয়ে বিভক্তি দেখা দিলে নির্বাচন কমিশন শুনানি করে যেকোনো একটি পক্ষের নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে। অন্য পক্ষ নতুন করে নিবন্ধন নিয়েছে। এর আগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি নিয়ে এমন বিরোধ দেখা দিলে শুনানি করে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল ইসি।

আবার গণ অধিকার পরিষদ ভেঙে গেলে অপর পক্ষ প্রথমে দলটিতে নিজেদের নেতৃত্ব দাবি করে। পরবর্তীতে তারা আমজনতার দল নামে নতুন দল গঠন করে। একই সঙ্গে তারা নিবন্ধন পেতে আবেদন করে। যদিও সে আবেদন এখনো মূল্যায়ন করেনি ইসি।

ইসিতে বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), এবি পার্টি, নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), মাহমুদুর রহমানের নাগরিক ঐক্য ও গণসংহতি আন্দোলন নামের দলগুলোকে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এগুলোর প্রায় প্রতিটিই আবেদনের পাঁচ থেকে ছয় বছর পর আদালতের আদেশে নিবন্ধন পেয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালেও শর্ত পূরণ না করার কারণ দেখিয়ে ৭৬টি দলের কোনোটিকেই নিবন্ধন দেয়নি ইসি। পরে ২০১৯ সালে ববি হাজ্জাজের দল এনডিএম আদালতের আদেশে নিবন্ধন পেয়েছিল।

নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ-প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করে ইসি। দলগুলো হলো- জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা। সম্প্রতি নতুন দলগুলোকে নিবন্ধন দিতে আবেদন আহ্বান করেছে ইসি। এক্ষেত্রে ২২ জুন পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ দল আবেদন করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৫
ইইউডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।