নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, এই সপ্তাহের ভেতরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা আপনাদের দিতে পারব।
সোমবার (১৮ জুলাই) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, কর্মপরিকল্পনার ব্যাপারে আমি বলেছিলাম, এই সপ্তাহে এটা করব। হ্যাঁ, এটা কোঅর্ডিনেট করা হচ্ছে। এই সপ্তাহের ভেতরে আপনাদের দিতে পারব।
আখতার আহমেদ আরও বলেন, আজকে আমরা আলোচনা করেছি ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নীতিমালা নিয়ে। এখানে আজকে আমরা বলেছি যে, ভোটকেন্দ্র সংখ্যা বাড়বে না। বাড়বে না এর অর্থ এই নয় যে, অতীতে যা ছিল সেটাই একদম হুবহু রাখতে হবে। যৌক্তিক বিবেচনায় যদি বাড়ে সেটা বাড়ানো হবে। আমাদের যে প্রতি ভোটকেন্দ্র জাতীয় নির্বাচনের সাথে সম্পর্কিত, ৩ হাজার জনের জন্য একটা কেন্দ্র, সেই অনুযায়ী আমরা হিসাব করে আমাদের ধারণা যে ভোটকেন্দ্র না বাড়িয়েও শুধু ভোটার উপস্থিতির বিষয়টাকে যদি আমরা বিবেচনায় নিই, তাহলে হয়তো দেখা যাবে যে, এটাকে সমন্বয় করতে পারছি। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি এখন আমাদের প্রতি কেন্দ্রে পুরুষদের জন্য আছে ৫০০ জনের জন্য একটা বুথ। এটাকে আমরা যদি ৬০০ করতে পারি তাহলে দেখা যেতে পারে আমরা অ্যাকোমোডেট করতে পারব। সেইভাবে আমরা একটু হিসাব করছি এবং হিসাব করে যদি দেখি যে, হ্যাঁ, এটা গ্রহণযোগ্য তাহলে আমরা সেই মাত্রায় কাজ করব।
ইসি সচিব বলেন, ৮৩টি আসন সম্পর্কিত যে আপত্তি এসেছে, সেটা আমরা ২৪ আগস্ট থেকে শুনানি শুরু করব। চারদিন টানা শুনানি হবে। আমরা এটাকে চূড়ান্ত করব।
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, আমরা এনআইডি কারেকশনের স্ট্যাটাসটা জানার চেষ্টা করেছি বা জেনেছি। আমাদের দৃষ্টিতে যেটা গ্রহণযোগ্য না এবং সে কারণে বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু আবেদনকারীর দৃষ্টিতে সেটা সঠিক না হলে আপিল করার সুযোগ আছে এবং তিনি আপিল করেন। এখন আমরা সেই আপিল অনুযায়ী নিষ্পত্তি করব। এমন আবেদনের সংখ্যা ৮০ হাজার।
ভোটার নিবন্ধন ফরম-২ স্ক্যানের বিষয়ে আখতার আহমেদ বলেন, ২০০৮ সাল থেকে যে ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তার অনেকগুলো ফর্ম এখনও স্ক্যান করা বাকি ছিল। সেই ফর্মগুলো স্ক্যান করে কমিশনের পোর্টালে আপলোড করার কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে তথ্যভান্ডার আরও সমৃদ্ধ হবে।
রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, নতুন নিবন্ধনের আবেদন করা ২২টি রাজনৈতিক দলের তথ্য মাঠ পর্যায়ে তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছি। আর যাদেরটা বাতিল বা বিবেচনাযোগ্য হয়নি তাদের আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছি যে, এই কারণে বাতিল হয়েছে। এবার আমরা স্পষ্ট করে বলে দেব কোন কারণটায় বা কোন শর্তের অপূর্ণতার কারণে তাদের বিবেচনা করা যায়নি।
ইইউডি/এমজেএফ