ঢাকা: বাছাইয়ে টিকে যাওয়া নিবন্ধন প্রত্যাশী নতুন রাজনৈতিক দলের সরেজমিন কার্যক্রম তদন্ত করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে মাঠ কর্মকর্তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন মাঠ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য ২২টি দলকে মাঠপর্যায়ের তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। ওই ২২টি দলের জেলা ও উপজেলার দপ্তরের অস্তিত্ব ও কার্যকারিতা সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করতে হবে।
মাঠপর্যায়ের এই তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়ার পরবর্তী কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
নিবন্ধন প্রত্যাশী ১৪৩টি দলের মধ্যে ২২টি দল বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়। দলগুলো হলো— ফরোয়ার্ড পার্টি, আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি, জনতার দল, জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-সিপিবি (এম), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-শাহজাহান সিরাজ), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ সলিউশন পার্টি ও নতুন বাংলাদেশ পার্টি।
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক-তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এছাড়াও কোনো দলের কেউ পূর্বে সংসদ সদস্য থাকলে বা পূর্বের নির্বাচনে পাঁচ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। এই প্রধান শর্তগুলো ছাড়াও বেশ কিছু নিয়ম-কানুন মেনে আবেদন করতে হয়।
ইইউডি/এসআইএস