ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

সেনা মোতায়েন, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার সুপারিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
সেনা মোতায়েন, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার সুপারিশ ইসির সঙ্গে বিজেপির সংলাপ

ঢাকা:  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করে ভোটগ্রহণ করার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি। একইসঙ্গে দলটি ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরা স্থাপনসহ পাঁচ দফা সুপারিশ করেছে।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে বসে দলটি এমন সুপারিশ করে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সংলাপে বিজেপি’র সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থের নেতৃত্বে দলটির দশ সদস্যের প্রতিনিধি দল এতে অংশ নেয়।


 
বিজেপি’র পক্ষ থেকে সিইসির কাছে লিখিত পাঁচ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো-সেনা মোতায়েন, ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা, প্রবাসীদের ভোটদানের ব্যবস্থাকরণ, ইসির আস্থা অর্জন, হলফনামার পাশপাশি অঙ্গিকার নামা, প্রশাসনে রদবলদ।
 
আন্দালিব রহমান স্বাক্ষরিত লিখিত সুপারিশের প্রারম্ভিকায় উল্লেখ করা হয়- বর্তমানে যে রাজনৈতিক অবস্থা বিদ্যমান, সে পরিস্থিতিতে সহায়ক সরকার কিংবা নির্দলীয় সরকার ব্যতিত নির্বাচন কমিশনের একটি সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং সর্ব সাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করা অনেকাংশে কঠিন হয়ে পড়বে।
 
এদিকে ইসির সঙ্গে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট’র সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এমপির নেতৃত্বে দলটির ২৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।
 
সংলাপ শেষে আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী  সংসদ বহাল রেখে দশম সংসদের প্রতিনিধিত্বকারী দলসমূহকে নিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের সুপারিশ করেছি। একইসঙ্গে সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নবম সংসদের  সংসদ সদস্যদের মধ্য হতে প্রধানমন্ত্রী এক দশমাংশ টেকনোক্রেট মন্ত্রী নিয়োগ দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি, এলডিপি, বিজেপি থেকেও ইচ্ছা করলে প্রধানমন্ত্রী টেকনোক্রেট মন্ত্রী নিতে পারেন। এজন্য সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপের প্রস্তাবের সুপারিশও করেছি।
 
তিনি বলেন, সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই না। ইসির অধীনে নির্বাচন হবে। তখনকার সময়ের সরকার নির্বাহী কাজে সহযোগিতা করবে। আর আমরা সেনাবাহিনী চাই। কেননা, সব কাজে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা ঠিক হবে না।
 
দলটির লিখিত সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা, দলগুলোকে বাৎসরিক আর্থিক সহযোগিতা ( থোক বরাদ্দ) দিতে কমিশনকে উদ্যোগ নেওয়া, নির্বাচনে  নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে  অভিন্ন পোষ্টার, মঞ্চ  ব্যবস্থা করা এবং ভোটারসহ সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা।
 
গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ইসি। এরপর গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।
 
সংলাপে আসা সুপারিশগুলোর মধ্যে সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, বর্তমান সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন, নবম সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন, সেনা মোতায়েন, না ভোটের প্রবর্তন, প্রবাসে ভোটারধিকার প্রয়োগ, জাতীয় পরিষদ গঠন, নির্বাচনকালীন অস্থায়ী সরকার গঠন, নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির অধীনে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, দলের নির্বাহী কমিটিতে বাধ্যতামূলকভাবে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বিধান তুলে নেওয়া ইত্যাদি অন্যতম।
 
১৮ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের  সঙ্গে বসবে নির্বাচন আয়োজনকারী এই সংস্থাটি।  
 
এবারের সংলাপ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪  অক্টোবর। এক্ষেত্রে ২২ অক্টোবর নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে, ২৩ অক্টোবর নারী নেত্রীদের সঙ্গে সংলাপে বসছে নির্বাচন কমিশন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
ইইউডি/বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।