তবে আগামীতে এ পরিবেশ বজায় থাকবে কি-না তার উপর নির্ভর করছে সুষ্ঠু নির্বাচন।
একইসঙ্গে হলফনামায় মেয়র প্রার্থীরা বার্ষিক আয়-ব্যয়ের যে হিসাব দেখিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানিয়েছে সুজন।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে সুজন আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। রসিক নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য উপস্থাপন উপলক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন।
এতে সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দীন খান ও সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে সুজনের তৈরি করা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংস্থাটির সহযোগী সমন্বয়কারী সানজিদা হক বিপাশা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, সুজনসহ সম্পাদক জাকির হোসেন।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দীন খান বলেন, ২০১২ সালের তুলনায় এবারের নির্বাচনে প্রার্থী সংখ্যার তারতম্য হলেও শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ সার্বিক বিবেচনায় গুণগত কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা আশা করেছিলাম শিক্ষিত লোক আসবে, ভালো প্রার্থী দাঁড়াবে, সে পর্যায়ে এখনো পৌঁছাতে পারিনি। এটা দুঃখজনক। আমরা হতাশায় ভুগছি।
সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে এখন পর্যন্ত যা ঘটেছে তাতে মনে হয়েছে মোটামুটিভাবে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রয়েছে। তবে কিছু ঘটনা যে ঘটছে না, তা নয়। তারপরেও মনে হয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত বজায় রয়েছে। সব প্রার্থী সমানভাবে প্রচারণার সুযোগ পাচ্ছে।
হলফনামায় দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে সুজনের তৈরি করা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে সংস্থাটির সহযোগী সমন্বয়কারী সানজিদা হক বিপাশা বলেন, মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে যে পাঁচজন ২০১২ সালের নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিলেন, তারা ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পদের যে হিসাব দাখিল করেছেন তা মোটেও নির্ভরযোগ্য নয়।
হলফনামায় দেওয়া তথ্য উল্লেখ করে বলেন, ২০১২ সালের নির্বাচনের তুলনায় এবার প্রার্থী কমেছে। যেখানে ২০১২ সালে ছিলো ১২ জন এবার সেখানে মাত্র ৭ জন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জন আবার ২০১২ সালেও প্রার্থী ছিলেন। এসব প্রার্থীর মধ্যে এটিএম গোলাম মোস্তফা ২০১২ সালে ব্যক্তিগত আয়-ব্যয়ের যে হিসাব দিয়েছিলেন এবারও তাই দিয়েছেন। এছাড়া কাওসার রহমানের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৮০৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
সাংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সর্বমোট ২শ’ ৮৪ জনের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই ব্যবসায়ী। তাই অন্যান্য নির্বাচনের মত রংপুর সিটির নির্বাচনেও ব্যবসায়ীদের প্রাধান্যই দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
এসএম/জেডএস