ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

‘প্রশ্নবান এড়াতে’ সংবাদ সম্মেলন করলেন না সিইসি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
‘প্রশ্নবান এড়াতে’ সংবাদ সম্মেলন করলেন না সিইসি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা/ফাইল ফটো

ঢাকা: এই প্রথম কোনো সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর সাংবাদিকদের এড়িয়ে গেলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। এর আগে রংপুর ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর সাংবাদিকদের নিজেদের মূল্যায়ন নিয়ে বিফ্রিং করেছিলেন সিইসি।

রংপুর ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন দু’টি বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর সবচেয়ে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলে সব মহলে সামদৃত। কিন্তু মঙ্গলবারের (১৫ মে) খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন না তিনি।


 
ইসি কর্মকর্তা ও প্রতিদিন সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, কোনো বড় নির্বাচনের পর সিইসি ভোটগ্রহণের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। এটা অনেকটা প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে সিইসি ‍নির্বাচনে অনিয়ম, অনিয়ম প্রতিহত করতে তাদের ভূমিকা ইত্যাদি তুলে ধরেন। কিন্তু এই সিটি নির্বাচনের পর সারাদিন বসিয়ে রেখে বিকেলে ইসি সচিবকে সাংবাদিকদের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়।
 
ইসি সচিব সংবাদিকদের জনান, ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩টি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। কেন্দ্র তিনটি হলো- ইকবালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, লবণচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং গাজী মালেক ছালেহীয়া দারুল সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসা।
 
এদিকে দিনভর বিভিন্ন টেলিভিশনের দেখানো হয়েছে, নির্বাচনে বেশকিছু কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে ব্যাপক সিল মারা হয়েছে। এছাড়া বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগও উঠেছে।
 
ইসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের মানুষ নির্বাচন কমিশনের অবস্থানটা জানতে চায়। তাই সিইসিকে গণমাধ্যমের সামনে আসা উচিত ছিল।
 
সংবাদকর্মীরা বলছেন, কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সময় প্রায় সব নির্বাচনেই অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা হয়েছে। তারপরও তারা প্রতিটি নির্বাচনের পর সংবাদ সম্মেলন করে জাতিকে নিজেদের ভূমিকার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু ঠিক কি কারণে সিইসি নূরুল হুদা গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন না, এ নিয়ে নানা আলোচনা তাদের মধ্যেও। অনেকেই বলছেন, দু’টি ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়ার পর হয়তো ‘কারচুপির’ সিটি নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নবানকেই এড়ালেন বর্তমান কমিশন।
 
অথচ নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামানকে সিইসি’র বক্তব্য প্রস্তুত করতেও দেখা গেছে। কিন্তু নির্বাচন শেষ হওয়ার পর বিকেল সোয়া ৪টার দিকে অন্য চার নির্বাচন কমিশনারকে তার কক্ষে ডাকেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক করার পর এসএম আসাদুজ্জামান উপস্থিত সংবাদকর্মীদের জানান, সিইসি ব্রিফ করবেন না। অবশেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এসে বলেন, শাস্তিপূর্ণ পরিবেশে চমৎকার, সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। যা হয়েছে তা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।