ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

‘সন্ত্রাস-লুটপাট নয়, কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন নিশ্চিত করবো’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৮
‘সন্ত্রাস-লুটপাট নয়, কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন নিশ্চিত করবো’ নগরের চালিবন্দর এলাকায় গণসংযোগ করছেন আ'লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট: নৌকা বিজয়ী হলে সন্ত্রাস ও লুটপাট নয়, নগরবাসীর কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন নিশ্চিত করবো বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।

তিনি বলেন, সিলেট নগরে নৌকার গণজোয়ার দেখে একটি মহল দিশেহারা। পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা আগুন সন্ত্রাস ও বোমাবাজি শুরু করেছে।

এসব কর্মকাণ্ডের কারণেই নগরবাসী তাদের প্রত্যাখ্যান করে নৌকার পক্ষে রায় দেবেন।

শুক্রবার (২৭ জুলাই) নগরের শেখঘাট ও চালিবন্দরসহ বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
 
কামরান বলেন, নগরের মানুষ আমাকে মনেপ্রাণে ভালোবাসেন। আমিও তাদের প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসি। জনগণের ভালোবাসাই আমার জীবনের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা ও শক্তি।
 
তিনি বলেন, আমি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে সব মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছি, সে ধনী হোক আর গরিব হোক। আমার বিবেচনায় সব মানুষের সমান অধিকার। ধনীর ভোট যেমন একটি, গরিব যে তার ভোটও একটি। অতীতে নগর ভবনে অনেক মানুষ লাঞ্ছিত ও নিগৃহীত হয়েছেন। আমার জীবনের শিক্ষা ও রাজনৈতিক আদর্শ অনুযায়ী আমি সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে ভালোবাসতে এবং মূল্যায়ন করতে শিখেছি। নগরবাসীর মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
 
নগরবাসীর সেবক হিসেবে নিজেকে নিবেদিত করতে বদ্ধপরিকর মন্তব্য করে কামরান বলেন, আমি বিশ্বাস করি পূণ্যভূমি সিলেটের মানুষ এবারের নির্বাচনে আমার ভালোবাসার প্রতিদান ও মূল্যায়ন করবেন।
 
মেয়র প্রার্থী কামরান শুক্রবার নগরের চালিবন্দর এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি এলাকার বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সবার কাছে দোয়া ও ভোট চান নৌকা প্রতীকে। এলাকাবাসীও স্বতস্ফূর্তভাবে তাকে সমর্থন জানান। নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
 
গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, মহানগর যুবলীগ আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি, যুগ্ম আহ্বায়ক মুশফিক জায়গীরদার, যুবলীগ নেতা অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন, বেলাল খান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ, শেখঘাট পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি শফি মাহমুদ, যুবলীগ নেতা সায়েম, রেদওয়ান আহমদ বাপ্পী, সাইম শাহ, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মনু মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা জাওয়াদ খান।
 
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনা মিয়া, সহ-সভাপতি ছয়ফুল আলম কয়েছ, সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার দেবুল, প্রফুল্ল রুদ্র, বিজয় পুরকায়স্থ, অমলেন্দু ভট্টাচার্য, দীপক ঘোষ, আবরার আহমেদ দুলাল, ধনেশ দেব, দীপক রবিদাস, কামাল আহমদ, কয়েছ আহমদ, কাজী আব্দুল মুকিত সুমন, উত্তম ঘোষ, পিন্টু চৌধুরী, যিষু কৃষ্ণ দেব, বিজয় চন্দ, সায়দুল ইসলাম, গোবিন্দ কুমার দেব প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৮
এনইউ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।