ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সংসদ নির্বাচনে মাঠে থাকছেন দেড় হাজার ম্যাজিস্ট্রেট

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
সংসদ নির্বাচনে মাঠে থাকছেন দেড় হাজার ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচন কমিশন ভবন

ঢাকা: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৬শ’ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করছে নির্বাচন কমিশন। তারা নির্বাচনী অপরাধের বিচার, লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভোটের মাঠে কাজ করবেন। এছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গেও ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। ইতিমধ্যে ছয় শতাধিক ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রশিক্ষণের পর মাঠে নামানো হয়েছে।

এদিকে নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ পর্যন্ত সময়ে অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ২শ’ ৪৪ জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে ১২২টি ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’।

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে ফল গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী, তার সমর্থক বা অন্য কেউ আইন ও বিধি লঙ্ঘন করলে বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তাদের সংক্ষিপ্ত বিচারের মাধ্যমে সাজা দেবেন ম্যাজিস্ট্রেটরা।

ভোটের মাঠে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ৬শ’ ৪০ জন, ১শ’ ২২টি নির্বাচনী তদন্ত কমিটিতে ২শ’ ৪৪ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও  ৭শ’ ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট, সবমিলিয়ে ১ হাজার ৬’শ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৭৩, ৭৪, ৭৮, ৭৯, ৮০, ৮১ ও ৮২ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারের জন্য মাঠে থাকবেন ৬শ’ ৪০ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। ৩শ’ আসনের প্রতিটিতে ২জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আগামী ২৯ ডিসেম্বর মাঠে নামবেন। তারা ১ জানুয়ারি পর্যন্ত চার দিন দায়িত্ব পালন করবেন। একাধিক উপজেলা বা উপজেলার অংশ নিয়ে গঠিত নির্বাচনী আসনের ক্ষেত্রে প্রতিটি উপজেলা বা উপজেলার অংশ বিশেষের জন্য ১জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন।

এছাড়া নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনের জন্য মাঠে থাকছে ৭শ’ ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিটি উপজেলায় ১জন, সিটি করপোরেশন এলাকায় ভৌগলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থিত প্রতি ৩-৪টি ওয়ার্ডের জন্য ১ জন করে, সিটির বাইরে জেলা সদরে প্রতি পৌর এলাকায় ১-২ জন করে এবং পার্বত্য এলাকায় ভৌগলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থিত  ৩-৪ উপজেলার জন্য ১ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, প্রতীক পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণা চালাতে পারেন। প্রচার কাজ বন্ধ করতে হয় ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা পূর্বে।

আইন অনুযায়ী, নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা শুধু প্রচার কাজের জন্যই শাস্তি দেন না। আচরণবিধিতে উল্লেখিত যে কোনো অপরাধের কারণেই তারা শাস্তি দিতে পারেন। এছাড়া সহিংস কর্মকাণ্ডের জন্য দুষ্কৃতিকারীদের ওপর গুলির আদেশও তারা দিতে পারেন। আর নির্বাচনী অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করতে পারেন।

অন্যদিকে প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে, এই অপরাধের কারণে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল করার ক্ষমতা রাখে।

৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।