ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

উন্নয়নের সঙ্গে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা চায় তরুণরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৮
উন্নয়নের সঙ্গে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা চায় তরুণরা সমাবর্তনের পর তরুণদের উল্লাস/ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: দরজায় কড়া নাড়ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জনগণের সমর্থনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দেবে সেই পরিকল্পনা ইশতেহারের মাধ্যমে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।

এবারের নির্বাচনে নতুন ভোটারদের বড় একটি সংখ্যা তরুণ হওয়ায় সরকার গঠনে যথেষ্ঠ ভূমিকা রাখবে তাদের মতামত। নির্বাচনের মাধ্যমে যে দলই ক্ষমতায় আসুক তরুণরা চায় বর্তমানে সূচিত উন্নয়নের ধারবাহিকতার সঙ্গে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা সূর্য সেন হলের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দশবছরের শাসনামলে দেশে অনেক মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রতিটি জেলা-উপজেলায় পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করা হয়েছে। পদ্মাসেতুর কাজ এগিয়ে চলছে। নির্মাণ শেষ হলে এটি দূরত্ব ও সময় কমিয়ে আনবে ওই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর। তাই আমি প্রত্যাশা করব দেশের চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক।

গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য সংসদে বিরোধীদলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। কিন্তু বিগত দুই সংসদে শক্তিশালী বিরোধীদলের উপস্থিতি দেখা যায়নি। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শামসিল আরেফিন রিয়েল বলেন, আগামী যে সরকার আসবে তার অধীনেই স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী পালিত হবে। আমরা চাই সংসদে সরকারের সঙ্গে শক্তিশালী বিরোধীদল থাকবে। কিন্তু সেই বিরোধীদল হবে মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার ও চেতনাকে ধারণ করে। বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক মেনে সেই বিরোধীদল আর সরকারি দলের সঙ্গে দেশের স্বার্থে তর্ক-বিতর্ক হবে। এভাবেই গণতন্ত্র এগিয়ে যাবে। আমরা এমন কোনো বিরোধীদল ও সরকার চাই না, যারা মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বাস করে না। যারা এরকম করে তারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে না।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এসব ঘটনার পেছনে চাকরি না পাওয়ার হতাশা ছিল বড় কারণ। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার চেয়ে আন্দোলনও করেছিল শিক্ষার্থীরা। এছাড়া চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করেছে শিক্ষিত বেকার যুবকদের একটি অংশ। বর্তমানে চাকরিহীন এসব শিক্ষার্থীদের একটাই চাওয়া, তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। যে দল তরুণদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেবে, পাশপাশি রক্ষা করবে তাদের পক্ষে মত দেবে বলে মনে করেন চাকরিপ্রত্যাশী মাহমুদুল করিম।
  
তবে দলের বাইরে গিয়ে প্রার্থীদের ব্যক্তিগত যোগ্যতা বিবেচনা করে ভোট দেওয়া উচিত বলে অভিমত দেন রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী মুনিরা দিলশাদ।  

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীদের ভোট দেওয়া উচিত। সে যে দলেরই হোক না কেন। কারণ এ দু’টি যোগ্যতা থাকলে দেশে পরিবর্তন আসতে বাধ্য বিশেষ করে সততাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৮
এসকেবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।