ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

উৎসবের আমেজে ভোট দেওয়ার অপেক্ষা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৮
উৎসবের আমেজে ভোট দেওয়ার অপেক্ষা নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানীবাসীর নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আর একদিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ইতোমধ্যে শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় শেষ হয়েছে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণার জন্য নির্ধারিত সময়। ভোটের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎকণ্ঠা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে উৎসবের আমেজেই ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন রাজধানীবাসী।

এদিকে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে ঢাকার বাইরের জেলার ভোটাররা। তাই শুক্রবার দিনের শুরু থেকেই সড়ক মহাসড়কগুলোতে শহরবাসী ও যানবাহনের চাপ কম ছিলো।

ঈদের সময় ঠিক যেমন ফাঁকা থাকে  সবসময়ের ব্যস্ততম নগরী ঢাকা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বিরাজমান পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে ভোটাররা সন্তুষ্ট।

ঢাকা-১০ আসনের ভোটার আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকার বাইরে অনেক জায়গায় গণ্ডগোলের খবর আমরা এ কয়দিন দেখেছি। তবে ঢাকায় সেভাবে কিছু হয়নি। আশা করছি, ভোটের দিনও কিছু হবে না।

ঢাকা-১৬ আসনের ভোটার ব্যবসায়ী জিয়া উদ্দীন বলেন, একটা উৎসবের মতো আমেজ পাচ্ছি আমরা। ভোট উপলক্ষে বিভিন্ন দলের প্রার্থী ও নেতারা প্রায়ই আমাদের সঙ্গে দেখা করছেন। আবার আমরা ব্যবসায়ীরাও নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করছি। আশে-পাশের নির্বাচনী প্রচারণা কেন্দ্র থেকে স্লোগান দিচ্ছে, গান বাজানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি আগের যেকোন সময়ের নির্বাচনের থেকে ভালো মনে হচ্ছে।  

এদিকে প্রচার-প্রচারণার জন্য আনুষ্ঠানিক সময় শেষ হয়ে গেলেও কর্মী সমর্থকদের নিয়ে শেষ সময়ের পরিকল্পনার ছক কষতে দেখা যায় অনেক প্রার্থীকেই। তবে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হবে বলে আশা আওয়ামী লীগ এবং মহাজোট সমর্থিত প্রার্থীদের।

ঢাকা-১৬ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দীন মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, ঈদে যেমন আমরা সবাই মিলে আনন্দ করি এবারের নির্বাচনেও তেমনি আনন্দ-উল্লাস ও উৎসবমুখর পরিবেশে হবে।

এসময় সব দলের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের নির্বাচনের দিন সহিষ্ণু আচরণের আহ্বান জানিয়ে ইলিয়াস মোল্লা বলেন, নির্বাচনে হার জিত থাকবেই। যাকে ভালো লাগবে জনগণ তাকেই ভোট দেবে। আর জনগণ যে রায়ই দিক তা আমাদের সবার মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।

এদিকে, শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ভোটকেন্দ্রগুলোতে ব্যালট বক্স, ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছে যাওয়ার কথা রয়েছে।

পল্লবীর কালশী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, আমাদের স্কুল এবারের নির্বাচনে কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। শনিবার যেকোনো সময় আমাদের কেন্দ্রসহ আশেপাশের কেন্দ্রগুলোতেও নির্বাচনী সামগ্রী চলে আসবে বলে জানতে পেরেছি।  

নির্বাচনে সবধরণের সহিংসতা এড়াতে এরই মধ্যে রাজধানীকে নিরাপত্তার চাঁদরে ঘিরে ফেলা হয়েছে। পথচারীদের পাশাপাশি বিভিন্ন যানবাহনে থাকা যাত্রীদের নামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। বিশেষ করে যানবাহনের বৈধ কাগজ এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখা হচ্ছে।

মিরপুর-১০ নম্বরের ঝুট পট্টিতে মোটরসাইকেলের তল্লাশিরত পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসিফ ইকবাল বলেন, সবধরনের মোটরসাইকেলের কাগজ ও যাত্রীদের তল্লাশি করার নির্দেশনা রয়েছে। যাদের সবকিছু ঠিক আছে তাদের আমরা যেতে দিচ্ছি। কিন্তু যাদের যানবাহনের কাগজপত্রে সমস্যা আছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।  

পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি রাজধানীর বাংলামোটর, কালশীসহ বেশ কয়েকটি স্থানে সেনাবাহিনীকেও সাময়িকভাবে তল্লাশি করতে দেখা গেছে।   

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৮
এসএইচএস/এমএএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।