২০১৫ সালে নেওয়া শূন্য বছর বয়স থেকে এনআইডি দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এ উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এতে একই ব্যক্তির ভিন্ন নামের জটিলতা আর থাকবে না।
নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. আবদুল বাতেন এ বিষয়ে বলেন, চলতি বছর ১০ বছর থেকে বয়স থেকে নাগরিকদের নিবন্ধন করে অস্থায়ী লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এনআইডি দেওয়া হলেও তারা ভোটার তালিকায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হবেন বয়স ১৮ হলেই।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ এর ৫(২) অনুযায়ী-ভোটার নয়, এমন নাগরিককে নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্ত সাপেক্ষে জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে পারবে কমিশন। এ আইনের বলেই কমিশন এ উদ্যোগ নিয়েছে।
২০১৫ সালের ২৫ জুলাই থেকে প্রথমবারের মতো ১৮ বছরের কম বয়সীদের তথ্য নেয় কমিশন। সে সময় ১৬ বছর বয়সীরাও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন।
বর্তমানে দেশে ১০ কোটি ৪২ লাখের মতো ভোটার রয়েছেন।
আব্দুল বাতেন বলেন, স্কুলের শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহের জন্য কাজে লাগানো হবে। কেননা, প্রাথমিক বিদ্যালয়েই অধিকাংশ দশ বছর বয়সী এবং হাইস্কুলে দশের বেশি বয়সীদের তথ্য চলে আসবে। এজন্য স্কুলে নিবন্ধন ফরম পাঠিয়ে দিলে শিক্ষকদের মাধ্যমেই পূরণ করিয়ে নেওয়া যাবে। আর আঙুল ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় তো সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। কাজেই উদ্যোগটি বাস্তবায়নে সমস্যা হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস