ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএম ব্যবহারে ভুলত্রুটি ছিল: সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
ইভিএম ব্যবহারে ভুলত্রুটি ছিল: সিইসি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা/ফাইল ফটো

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে ভুলত্রুটির কথা স্বীকার করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।

তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে কোথাও কোথাও ভুলত্রুটি ছিল, অসুবিধা ছিল।

আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) বুধবার (৩০ জানুয়ারি) পঞ্চম উপজেলা নির্বাচন পরিষদ নির্বাচনের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও ইভিএম ব্যবহারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শীর্ষক প্রশিক্ষণ উদ্বোধনকালে সিইসি একথা বলেন।

কেএম নূরুল হুদা বলেন, ইভিএমের ওপরে আস্থা, বিশ্বাস নানা কারণে একথা বারবার বলেছি। ইভিএম নতুন একটা পদ্ধতি। তাই কোথাও কোথাও কোনো ভুলভ্রান্তি হলে মানুষের মধ্যে আস্থার সঙ্কট সৃষ্টি হয়।

সিইসি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনের পুরোটাই আমরা ইভিএমে ভোটগ্রহণ করেছি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, কোথাও কোথাও ভুলত্রুটি ছিল, অসুবিধা ছিল। নতুন একটা পদ্ধতি প্রয়োগের সময় এরকম হতে পারে। একেবারে হতে পারে না এটা আমি বলবো না।

এজন্য কর্মকর্তাদের অধিক সাবধানতা, সতর্কতা অবলম্বনের তাগিদ দেন সিইসি।  

তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম এটা এমন একটা সিস্টেম, যে আধাঘণ্টা, একঘণ্টার মধ্যে জনগণের কাছে ভোটের ফলাফল তুলে দেবো। আমরা সেটি পারিনি। কেনো পারিনি সে কারণগুলো নির্ধারণ করতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের কি ভুল ছিল সেগুলো শনাক্ত করতে হবে। সেগুলো সংশোধন করতে হবে।

গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ইসির কর্মকর্তা পাশাপাশি ছয়টি আসনে প্রায় তিন হাজারের মতো সেনা সদস্যের সহায়তায় ইভিএম পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন। সিইসি ভোটের আগে বারবার বলেছিলেন, ভোটগ্রহণ শেষ হলেই ইভিএমের ফলাফল প্রকাশ করা যাবে। কিন্তু সংসদ নির্বাচনে সে ফল প্রকাশে প্রায় ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মতো বিলম্ব হয়েছিল।

২০১০ সাল থেকে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হলে সংসদ নির্বাচনে এবারই প্রথম। যার ধারাবাহিকতায় আসছে উপজেলা নির্বাচনে সদর উপজেলাগুলোতে এই মেশিন ব্যবহার করবে ইসি। এজন্য প্রায় এক লাখ নতুন ইভিএম কেনা হচ্ছে। যার প্রতিটির দাম পড়ছে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে কর্মকর্তাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের কাঠামোগত দিক থেকে খুব একটা পার্থক্য নেই। স্থানীয়ভাবে হওয়ায় নির্বাচনগুলো আরো বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় আপনাদের ভূমিকা স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, দৃঢ় ছিল। উপজেলা নির্বাচনেও সেরকম স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ হতে হবে।

এসময় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।