ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন সংরক্ষিত ৪৯নারী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন সংরক্ষিত ৪৯নারী নির্বাচন কমিশন ভবনের ফাইল ছবি

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত ৫০ নারী আসনে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মোট ৪৯ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে।

নির্বাচন ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৪৩ জন, জাতীয় পার্টির চার জন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির একজন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জোট থেকে একজন; এই মোট ৪৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়পত্র যাচাই বাছাই ১২ ফেব্রুয়ারি।

প্রত্যাহার ১৬ ফেব্রুয়ারি। আর ভোট ৪ মার্চ।

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, প্রত্যাহারের দিন যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের কেউ প্রত্যাহার না করলে কিংবা বাছাইয়ে কারো মনোনয়নপত্র বাতিল না হলে এই ৪৯ জনকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৫৮টি আসন, জাতীয় পার্টি ২২টি আসন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২টি আসন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি আসন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ২টি আসন, জাতীয় পার্টি-জেপি ১টি আসন ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ১টি আসন পেয়েছে। মহাজোট মোট আসন পেয়েছে ২৮৯টি।

অন্যদিকে বিএনপি ৬টি ও গণফোরাম ২টি আসন পেয়েছে। এর মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মোট ৮টি আসন পেয়েছে। আর স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৩ প্রার্থী।

দল ও জোটের সংসদ সদস্য সংখ্যার অনুপাতে সংরক্ষিত আসন সংখ্যা আইনে বণ্টনের বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ৪৩টি আসন, ওয়াকার্স পার্টি ১টি, জাতীয় পার্টি ৪টি ও স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী জোট ১টি এবং বিএনপি জোট ১টি আসন পেয়েছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন- ঢাকা থেকে শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা, সুবর্ণা মুস্তাফা ও নাহিদ ইজহার খান, চট্টগ্রাম থেকে খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াশিকা আয়েশা খানম, কক্সবাজার থেকে কানিজ ফাতেমা আহমেদ, খাগড়াছড়ি থেকে বাসন্তি চাকমা, কুমিল্লা থেকে আঞ্জুম সুলতানা ও আরমা দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, গাজীপুর থেকে শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী, বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা, জামালপুর থেকে হোসনে আরা, নেত্রকোণা থেকে হাবিবা রহমান খান ও জাকিয়া পারভীন খানম, পিরোজপুর থেকে শেখ এ্যানী রহমান, টাঙ্গাইল থেকে অপরাজিতা হক ও খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, সুনামগঞ্জ থেকে শামীমা আক্তার খানম, মুন্সিগঞ্জ থেকে ফজিলাতুন্নেছা, নীলফামারী থেকে রাবেয়া আলী, নরসিংদী থেকে তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জ থেকে নার্গিস রহমান, ময়মনসিংহ থেকে মনিরা সুলতানা, ঝিনাইদহ থেকে খালেদা খানম, বরিশাল থেকে সৈয়দা রুবিনা মিরা, পটুয়াখালী থেকে কানিজ সুলতানা, খুলনা থেকে অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালী থেকে ফরিদা খানম সাকী, ফরিদপুর থেকে রুশেমা বেগম, কুষ্টিয়া থেকে সৈয়দা রাশেদা বেগম, মৌলভীবাজার থেকে সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহী থেকে আদিবা আনজুম মিতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরিয়তপুর থেকে পারভীন হক শিকদার, রাজবাড়ী থেকে খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন, মাদারীপুর থেকে তাহমীনা বেগম, পাবনা থেকে নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোর থেকে রত্না আহমেদ।

জাতীয় পার্টি থেকে সালমা আক্তার, রওশনারা মান্নান, নাজমা আক্তার ও মাসুদা এম রশিদ চৌধুরীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে রাশেদ খান মেননের স্ত্রী লুৎফুন নেসা খান ও স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সেলিনা ইসলামের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আর বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা ১টি আসন পেলেও শপথ না নেওয়ায় আপাতত সে পদটি খালি থাকছে।

২০১৪ সালের দশম সংসদেও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যরা কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।