ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

রাজশাহীতে ভোট থেকে সড়ে দাঁড়ালেন আট প্রার্থী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
রাজশাহীতে ভোট থেকে সড়ে দাঁড়ালেন আট প্রার্থী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

রাজশাহী: উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে রাজশাহীর তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আটজন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তারা নিজেদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। মঙ্গলবার ছিলো মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।

রাজশাহীর পুঠিয়া, বাঘা, তানোর ও দুর্গাপুর উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জুলকার নায়ন ও বাগমারা, গোদাগাড়ী, মোহনপুর ও চারঘাট উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন প্রার্থীরা।

চেয়ারম্যান পদের যারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন তারা হলেন- পুঠিয়ার স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখলেসুর রহমান মন্টু, বাঘা উপজেলার বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় পার্টির শামসুদ্দিন রিন্টু ও বাগমারার বিএনপি নেতা ডিএম জিয়াউর রহমান। এছাড়া নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান পদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন বাঘার মোখলেসুর রহমান মুকুল ও মহিদুল ইসলাম।

এদের মধ্যে মুকুল উপজেলা বিএনপির নেতা। এদিকে মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাঘার প্রার্থী ফারহানা দিল আফরোজ রুমি ও মোহনপুরের নাজমা বিবি।

বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এখন একমাত্র প্রার্থী থাকলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত লায়েব উদ্দিন লাভলু। মোহনপুরেও এখন একমাত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের আবদুস সালাম। এছাড়া যাচাই-বাছাইয়ের সময় তিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় একক প্রার্থী থাকেন সালাম। আর মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমা বিবি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় একক প্রার্থী হয়ে গেলেন সানজিদা রহমান।

এছাড়া বাগমারা বর্তমান মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নাসিমা আক্তার বাবুলেরও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে প্রতিদ্বন্দ্বীরা প্রার্থিতা হারালে একক প্রার্থী থাকেন বাবুল।

গোদাগাড়ীর মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী সুফিয়া খাতুন মিলিরও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের এ সভাপতির সঙ্গে ভোট করতে কেউ মনোনয়নপত্রই তোলেননি। ফলে দুই চেয়ারম্যান ও তিন মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

হাইকোর্টের নির্দেশে রাজশাহীর পবা উপজেলায় নির্বাচন এক বছরের জন্য স্থগিত হয়ে গেছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামী ১০ মার্চ ভোট হচ্ছে বাকি আট উপজেলায়।

এতে অংশ নিতে তিন পদের বিপরীতে আট উপজেলা থেকে মনোনয়নপত্র তোলেন ৯০ জন। এদের মধ্যে ১৬ জনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে বাতিল হয়ে যায়। আর প্রত্যাহার করে নিলেন ৮ জন। এখন নির্বাচনে থাকলেন ৬৬ জন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় এদের মধ্যে পাঁচজনের ভোট করার কোনো প্রয়োজন পড়ছে না।

রিটার্নিং কর্মকর্তা জুলকার নায়ন ও সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। তারপর যেসব প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই, তাদের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানানো হবে। সেখান থেকে তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।