বগুড়া জিলা স্কুল কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের প্রথম ৪ ঘণ্টায় ৩৮টি ভোট পড়ে। শেষের বাকি সময়ে এই কেন্দ্রে ভোট পড়ে ৪৮টি।
একইভাবে বগুড়ার করোনেশন ইন্সটিটিউশনে তিনটি ভোট কেন্দ্রের মোট ১৮টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হয়। এই কেন্দ্রে সকাল ৮টা ৪২ মিনিটে প্রথম ভোট পড়ে। ভোটগ্রহণে নিয়োজিত কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটাররা কেন্দ্রে আসবেন এবং তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেবেন। কিন্তু শেষ সময় অবধি তাদের সেই আশার তেমন একটা প্রতিফলন মেলেনি এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে।
শহরতলীর পাশের আরেকটি কেন্দ্রের নাম নিশিন্দারা ইউনিয়নের আব্দুল করিম বালিকা বিদ্যালয়। দুপুরে দেড়টা নাগাদ এই কেন্দ্রে ভোট পড়ে ৩২৬টি। অথচ এই কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ২ হাজার ৬৬৩টি।
গোকুল ইউনিয়নের আরেকটি ভোটকেন্দ্রের নাম রামশহর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার হারুনুর রশীদ বাংলানিউজকে জানান, প্রথম ৬ ঘণ্টায় এই কেন্দ্রে ভোট পড়ে ৩০২টি। এখানকার মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ২ হাজার ২৭৫টি।
বাঘোপাড়া শহীদ দানেশ স্কুল ও কলেজ ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বিকেল ৩টা নাগাদ তার কেন্দ্রে মোট ভোট পড়ে ৮৭১টি। এই কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৪৬১ জন।
চিত্রটা শুধু বগুড়া জেলা শহরের ছিলো না। জেলার বিভিন্ন উপজেলা শহর ও ইউনিয়নগুলোতেও এবারের উপজেলা নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিলো এমনটা। আর ভোটার উপস্থিতি কমের কারণে দিনের বেশিরভাগ সময় ভোটগ্রহণে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অলস সময় কাটাতে দেখা যায়।
তখন বেলা ১২টার মতো। সদর উপজেলার বেলঘরিয়া ভোটকেন্দ্রে ভোটারশূন্য প্রাঙ্গণে স্কুলের দোলনায় দোল খেতে দেখা যায় কয়েকজন আনসার সদস্যকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভোটার উপস্থিতি শূন্য থাকায় এভাবে বসে বসেই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা আর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অপেক্ষা করেছেন বিকেল ৪টার। এভাবে বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষে জেলার ৯২৬টি কেন্দ্রেই ভোট গণনা শুরু হয়।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে দিনভর ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ছিলো। ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এখন অবধি নির্বাচন নিয়ে কারো কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
এমবিএইচ/এমজেএফ