ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএমে ভোট দিচ্ছেন পটুয়াখালীর মানুষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
ইভিএমে ভোট দিচ্ছেন পটুয়াখালীর মানুষ

পটুয়াখালী: পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চতুর্থ ধাপে পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। 

রোববার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হতে পারে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে প্রথমবার ইভিএমে ভোট দিয়ে আনন্দিত ও উৎসাহিত হলেও গোপন কক্ষের স্বচ্ছ কাপড়ের ভেতরে ইভিএমের আলো দেখা যাওয়ায় কিছুটা বিব্রত হচ্ছেন ভোটাররা।

 

এদিকে প্রবীণ ভোটারদের ভোটদানে কিছুটা বিলম্বিত হতে দেখা গেছে। প্রবীণ ভোটার মোসলেম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘কেন্দ্রে আসার সময় যদি কেউ দেখিয়ে দিতো, তাহলে সুবিধা হতো। আগে নাকি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তা আমরা শুনতে পাইনি। ’

মধ্য বয়সী ভোটার শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ইভিএমে ভোট দেওয়া খুবই সহজ। আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার ছবি আসছে, তারপর লাল ও সবুজ বাটন চেপে ভোট দিয়ে আসলাম। ’

তবে গোপন কক্ষের কাপড় স্বচ্ছ ও নিম্ন মানের হওয়ায় পোলিং এজেন্টরা শুনতে ও ভোট দেওয়া দেখতে পারেন। তাই অনেকেই বিব্রত বোধ করছেন বলেও জানান ভোটারা। তাদের দাবি, গোপন কক্ষে আড়ালে উন্নত মানের কাপড় ব্যবহার করলে ভোটারদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ ভোটদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হেমায়েত উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, যে কেন্দ্র গুলোতে এ সমস্যা রয়েছে ওইসব কেন্দ্রগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সকাল ৮টা থেকে সদর উপজেলায় প্রথম বারের মতো ৮৯টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। এসব কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি প্রতিটি ইভিএম কেন্দ্রে দু’জন করে সেনা সদস্য কাজ করছে।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশের তিন জন, আনসার বাহিনী ১০ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। প্রতি তিন ইউনিয়নে এক জন ও পৌরসভায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া প্রতি উপজেলায় পুলিশের ১০ থেকে ১২টি ভ্রাম্যমাণ দল, ৪-৬ প্লাটুন বিজিবি ও দুই প্লাটুন র‌্যাব সদস্য নিয়মিত টহলে রয়েছে। ইভিএম ভোটকেন্দ্রগুলোতে দুই জন সেনা সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হেমায়েত উদ্দিন।

জেলার সাত উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২৯, ভাইস চেয়ারম্যান ২৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জেলার সাতটি উপজেলায় ১১ লাখ ১৫ হাজার, ১১৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।