রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন অভিযোগ এনে তিনি ভোট বর্জন করেন।
মোতাহার হোসেন মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে প্রশাসন পক্ষপাতিত্ব করছে।
তিনি বলেন, ‘সকালে বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখি নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে জোর করে ভোট কেটে নিচ্ছে। অনেক কেন্দ্রে এজেন্টদের মারধরও করেছে। এ অবস্থায় আমি ভোট বর্জন করছি। ’
জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরাজি বেনজির আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমি মোল্লাহাটে অবস্থান করছি। আমার কাছে এমন কোনো খবর নেই। এছাড়া জেলার অন্য উপজেলাগুলোতেও ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
জেলার নয়টি উপজেলায় ৬০ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সাতজন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- মোরেলগঞ্জে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাহ-ই-আলম বাচ্চু ও স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী মিজানুর রহমান বাবুল। মোল্লাহাটে নৌকার শাহিনুল আলম ছানা ও স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী মোতাহার হোসেন মোল্লা এবং জাতীয় পার্টির কামরুজ্জামান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদিকে ফকিরহাটে আওয়ামী লীগ প্রার্থী স্বপন দাসের বিরুদ্ধে লড়ছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির নুর মোহাম্মাদ।
জেলার ৭৫টি ইউনিয়নে ৪৬৮টি কেন্দ্রে দুই হাজার ৯৫১টি ভোটকেন্দ্রে ১১ লাখ ১৩ হাজার ৩৫১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ পাঁচ লাখ ৫৯ হাজার ৩৮৫ এবং পাঁচ লাখ ৫৩ হাজার ৯৮৬ নারী ভোটার রয়েছে।
ছয়টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, একটি উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ও দু’টি উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
জিপি