বাকি দুই উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্র ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকায় চেয়ারম্যান পদে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। তবে এখানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরাই এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রাপ্ত ফলাফলে জানা যায়, বুড়িচং উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রার্থী আখলাক হায়দার বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৪৩৭ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসেম খান পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৮৪৫ ভোট।
ব্রাহ্মণপাড়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবু তাহের বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬৭৩ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী পেয়েছে ২৪ হাজার ৯২৮ ভোট।
মুরাদনগরে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আহসানুল আলম কিশোর এক লাখ ৩১ হাজার ১০২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া সরকার ১৫ হাজার ৩ ভোট পেয়েছেন।
হোমনায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেহেনা মজিদ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৩১ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সহিদুল্লাহ পেয়েছেন ২ হাজার ৪৭ ভোট।
চান্দিনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নানা অনিয়মের দায়ে চারটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এছাড়া ৮০টি কেন্দ্রের ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তপন বক্সী ৩৩ হাজার ৫৪৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মজিবুর রহমান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ২৬৫ ভোট।
এদিকে, স্থগিত চার কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১৪ হাজার ৩৭৪। ফলে ১৩ হাজার ২৮১ ভোট বেশি পেলেও নৌকা প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি।
অপরদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগ ঘোষিত প্যানেলের প্রার্থী মো. জহিরুল ইসলাম মুন্সী চশমা প্রতীকে ৩৫ হাজার ৯০৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফয়সাল বারী মজুমদার মুকুল তালা প্রতীকে ১৬ হাজার ৯৩ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ঘোষিত প্যানেলের প্রার্থী সাফিয়া আক্তার পদ্মফুল প্রতীকে ৩৩ হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জান্নাতুল ফেরদৌস ফুটবল প্রতীকে ১৮ হাজার ৭৬৮ ভোট
পেয়েছেন।
মেঘনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করায় চেয়ারম্যান পদে পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা করা হয়নি। তবে এখানেও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রতন সিকদার ১৬ হাজার ৯৩৮ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুস সালাম (দোয়াত কলম) ৪৯৪ ভোট পেয়েছেন। মো. স্বতন্ত্র প্রার্থী তাজুল ইসলাম (আনারস) ১৫ হাজার ১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রমিজ উদ্দিন (ঘোড়া) ৩ হাজার ৩১১ ভোট এবং মো. সোহাইল (ইসলামী ঐক্যজোট) ১৫৬ ভোট পেয়েছেন। মেঘনায় স্থগিত দুইটি ভোট কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৯
এনটি