নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়োজিত তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করবেন। ১৩ মে (সোমবার) তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলে ওয়ার্ডে স্থাপিত নিবন্ধন কেন্দ্রে চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি ও দশ আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে।
সোমবার (০৮ এপ্রিল) কমিশন বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইসি যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, এবার মোট চার বছরের তথ্য নেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে তিন বছরের নাকি চার বছরের তথ্য নেওয়া হবে, সে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি কমিশন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, চার বছরের তথ্য নিলে ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারির আগে যারা জন্ম নিয়েছেন তাদের তথ্য নেওয়া হবে। আর তিন বছরের তথ্য নিলে ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারির আগে যাদের জন্ম হয়েছে, তাদের তথ্য নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ হবে তাদের তালিকায় যুক্ত করা হবে আগামী বছর। এরপর ২১, ২২ ও ২৩ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ হবে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়ে যাবেন।
কমিশন বৈঠকে সূত্রে জানা গেছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইসির নিয়োগ করা তথ্য সংগ্রহকারীরা তথ্য নেওয়ার তিন সপ্তাহ পর নির্দিষ্ট নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি ও দশ আঙুলের ছাপ দিতে হবে। আর নিবন্ধন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে প্রতিটি ওয়ার্ডে।
প্রতি ২ হাজার নাগরিকের বিপরীতে একজন করে তথ্য সংগ্রহকারী নিয়োগ দেওয়া হবে। ৫ জন তথ্য সংগ্রহকারীর জন্য থাকবেন একজন সুপারভাইজার। প্রতি ৭০ জন নাগরিকের জন্য একজন করে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করা হবে। যারা ভোটারদের তথ্য সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করবেন।
বিশাল কর্মযজ্ঞের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮২ দশমিক ৫ কোটি টাকা।
** ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু শিগগির, ব্যয় ৮২ কোটি
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস