তিনি বলেন, হিজড়াদের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ হয়েছে তাদের আলাদাভাবে ভোটার করা হবে। কেননা, তাদের মধ্যে অনেকে নারী নামে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা চাই না কোনো মৃত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হোক। তালিকা মৃত ভোটার বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহকারীদের অনুপ্রাণিত করতে এবার ১০ টাকা ভাতা চালু করা হয়েছে। এর আগে এই কাজে কোনো ভাতা ছিল না।
তাছাড়া আগেরবার হালনাগাদে দেখা যায়, অনেক জীবিত ভোটার মৃত হয়ে আছে। এটাও যেনো না হয়। কেননা একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত নির্ভুল ভোটার তালিকা।
নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। এটাও একটা সাংবিধানিক দায়িত্ব। শুধু ভোটার আইডির জন্য নয়। রাষ্ট্র নির্ধারিত কাজগুলো প্রতিপালন করতে ভোটার আইডি বা ন্যাশনাল আইডি দরকার।
তিনি বলেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে কিনা, নির্ভুল তথ্য পূরণ করছে কিনা, তা দেখতে হবে। সুপারভাইজার ও তথ্য সংগ্রহকারীর দায়িত্ব কি, তা সবার জানা আবশ্যক। এজন্য নির্দেশিকা সঠিকভাবে দেখলে দায়িত্ব পালনে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। তারপরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে।
তিনি আরো বলেন, গ্রামের মেয়েরা অনেক ক্ষেত্রে পুরুষের সামনে বেরিয়ে তথ্য দিতে চান না। সেখানে পুরুষের বদলে নারীকর্মী দিতে পারেন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা মোহা. ইসরাইল হোসেন।
এছাড়া জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন দফতরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
এনইউ/এএ