আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে এ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন দু’টো সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সাবেক সামরিক শাসক এইচএম এরশাদ গত ১৪ জুলাই চিকৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান। তাই সংসদ সচিবালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) আ. ই. ম গোলাম কিবরিয়া ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) আসনটি শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশ করেন।
সংবিধানের ১২৩(৪) দফায় বলা হয়েছে- সংসদ ভেঙে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে পদটি শূন্য হওয়ার নব্বই দিনের মধ্যে শূন্যপদ পূরণ করার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে (তবে শর্ত থাকে যে, যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, কোনো দৈব-দূর্বিপাকের কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তা হলে মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে)।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, আসন শূন্য হওয়ার দিন থেকেই নব্বই দিন গণনা করা হয়। এক্ষেত্রে আগামী ১১ অক্টোবরের মধ্যে ওই আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা আছে।
কমিশন সভার জন্য ইসি সচিবালয়ের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে- যে কোনো নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণার পর থেকে ৩৫-৪৫ দিন সময়ের প্রয়োজন হয়। এসব দিক বিবেচনায় সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহের সুবিধাজনক যে কোনো দিন, ১ থেকে ৩ অক্টোবরের অথবা ১০ অক্টোবর রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
অক্টোবরে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হলে আগস্টের শেষ অথবা ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আর সেপ্টেম্বরের শেষে নির্বাচন করতে হলে ২০ আগস্টের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
এমন প্রস্তাবনার ওপর কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়ে যে তারিখ দেবেন, সেই তারিখের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বাংলানিউজকে বলেন, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই ভোট হবে। ১ থেকে ৫ অক্টোবরের মধ্যেই হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস