ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘উদাসীনতার’ কারণেই ভোটটি আবারও পিছিয়ে গেল। আগামী ১৪ অক্টোবর ভোটের তারিখ রেখে গত ৩ সেপ্টেম্বর এ পৌরসভায় ভোটের তফসিল দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কর্মকর্তারা বলছেন, গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট তার রায়ে বলেছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্ভব হলে তিন মাসের মধ্যে ভোটের আয়োজন করতে। সে অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে।
দোহার পৌরসভার প্রথম নির্বাচন হয় ২০০০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। তারপর আর কখনো এই পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয়নি। সে হিসেবে ১৯ বছর পর ভোটের আয়োজন করেছিল নির্বাচন কমিশন। এই সময়ের মধ্যে নানা আইনি জটিলতার কারণে ভোট করতে পারেনি ইসি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তফসিল ঘোষণার আগে স্থানীয় সরকারের কাছ থেকে তালিকা নেওয়া হয়। কেননা, স্থানীয় নির্বাচনগুলোর দায়িত্বে ইসি নয়। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব কেবল জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করা। স্থানীয় নির্বাচনগুলোর দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। সীমানা নির্ধারণের দায়িত্বও তাদের। কাজেই এখানে কোনো আইনি জটিলতা থাকলে সেটি স্থানীয় সরকারকেই সমাধান করতে হবে।
এই অবস্থায় নির্বাচনটি আবারও ঝুলে যাওয়ায় নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকারকে হাইকোর্টের আদেশটি মনে করিয়ে দিয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে সীমানা পুনর্নির্ধারণ দ্রুত সম্পন্ন করতে।
ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে- ‘রিট পিটিশন নং ৪৩৮৮/২০১৩ এবং ৬৮৪৪/২০১৩ এর পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় হাইকোর্ট ৩০ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে প্রদত্ত আদেশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্ভব হলে ৩ মাসের মধ্যে ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার দোহার পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্দেশনা থাকায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোহার পৌরসভার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে নির্বাচন করার প্রযোজন হবে মর্মে সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ’
এই অবস্থায় অতিসত্ত্বর ওই সিদ্ধান্তের আলোকে পরবর্তীতে কার্যক্রম গ্রহণ করে অবহিত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্দেশনাটি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে দেওয়া হয়েছে। যার অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সরার কাছে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস