ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ডিসিসি ভোট: মঙ্গলবার মাঠে নামছেন নির্বাহী হাকিমরা

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
ডিসিসি ভোট: মঙ্গলবার মাঠে নামছেন নির্বাহী হাকিমরা নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রায় দুই শতাধিক নির্বাহী হাকিমকে মাঠে নামাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) থেকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা ভোটের মাঠে থাকবেন। তাদের মূল কাজ হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা।


 
ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান নির্বাহী হাকিমদের মাঠে নামানো সংক্রান্ত নির্দেশনা ইতিমধ্যে জনপ্রশাসন সচিবকে পাঠিয়েছেন।

তিনি জানান, দুই সিটিতে এবার ১৭২ জন নির্বাহী হাকিম নিয়োগ করা হচ্ছে। এদের মধ্যে ডিএনসিসিতে দায়িত্ব পালন করবেন ৭২ জন। আর ডিএসসিসিতে থাকবেন ১০০ জন।

২৪ ডিসেম্বর থেকেই দুই সিটির ভোটের এলাকা চষে বেড়াবেন ৪৩ জন। তারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। আর ২৮ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২৯ জন দায়িত্ব পালন করবেন।

জনপ্রশাসন সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে- দুই সিটি নির্বাচনে নির্বাহী হাকিমরা মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ অনুযায়ী নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালন, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ ও স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) বিধিমালা-২০১০ অনুযায়ী, নির্বাচনী অপরাধ রোধ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালানার জন্য ভোটের পরের দিন অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

ইসির উপ-সচিব আতিয়ার জানান, ওই নির্বাহী হাকিম ছাড়াও ভোটের দু’দিন আগে নিয়োগ করা হবে বিচারিক হাকিম। এক্ষেত্রে প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একজন করে বিচারিক হাকিম দায়িত্ব পালন করবেন। দুই সিটিতে বিচারিক হাকিম নিয়োজিত থাকবেন ৪৩ জন। এদের মধ্যে উত্তর সিটিতে ১৮ জন এবং দক্ষিণ সিটিতে ২৫ জন দায়িত্ব পালন করবেন।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ৩১ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই আগামী ২ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ জানুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ জানুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জানুয়ারি।

রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করা যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারকে নিয়োগ করেছে ইসি।  

৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড নিয়ে ডিএনসিসি গঠিত। এ নির্বাচনে এক হাজার ৩৪৯টি ভোটকেন্দ্রের সাত হাজার ৫১৬টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

ডিএসসিসিতে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড রয়েছে। এ নির্বাচনে এক হাজার ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের পাঁচ হাজার ৯৯৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ ভোটার এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর উত্তরের মেয়র আনিসুল হক মারা যাওয়ায় উপ-নির্বাচন হয়েছিল চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি।

সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর ভোটের আয়োজন করতে হয় মেয়াদ পূর্তির পূর্ববর্তী ১৮০দিনের মধ্যে। সে অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৬ মে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
ইইউডি/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।