রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে জমা দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামা থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
আতিকুল ইসলাম:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম পেশা হিসেবে হলফনামায় ব্যবসার কথা উল্লেখ করেছেন।
তার বার্ষিক আয় ১ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। আয়ের উৎস হিসেবে তিনি কৃষি, ব্যবসা, বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া, মৎস্য চাষ ও ব্যাংক সুদ উল্লেখ করেছেন।
সাবেক এ মেয়রের অস্থাবর সম্পদ ৪ কোটি ৮৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকা ও স্থাবর সম্পদের মূল্যমান ১৩ কোটি ৯৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা রয়েছে। আইএফআইসি ব্যাংকে তার ব্যক্তিগত ঋণ আছে ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে ৫৯১ কোটি ৬ লাখ টাকার ঋণ। এই ঋণের মধ্যে আইএফআইসি ব্যাংকে ফান্ডেড ১৮৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা ও নন-ফান্ডেড ২৪৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ঋণ। ইস্টার্ন ব্যাংকে ফান্ডেড ৪৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা ও ১৩ কোটি ৯ লাখ টাকা নন-ফান্ডেড এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে ২৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ফান্ডেড ও ৭৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা নন-ফান্ডেড টাকা ঋণ তার।
আতিকুল ইসলামের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিকম। তার নামে কোনো মামলা নেই।
তাবিথ আউয়াল:
বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে এমএসসি ডিগ্রির কথা হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় রয়েছেন ব্যবসায়িক আইকন আব্দুল আওয়াল মিন্টুর এই ছেলে।
হলফনামায় তিনি ৪ কোটি ১২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন। আয়ের উৎস্য হিসেবে কৃষি, বাড়ি/দোকান/ অন্যান্য ভাড়া, ব্যবসা, শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক থেকে লভ্যাংশ, চাকরি, অন্যান্য খাত উল্লেখ করেছেন।
তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪৫ কোটি ৬০ লাখ ৮ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে ৪ দশমিক ২৪ একর কৃষি জমি, ১৬ দশমিক ৪৮ একর অকৃষি জমি, দশমিক ৫৬ একর অন্যান্য জমি। ৯২৪ ও ১ হাজার ৪৩ বর্গফুট আয়তনের দুটি অ্যাপার্টমেন্টও রয়েছে তার।
বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তার প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে ঋণ নেওয়া রয়েছে ৩০২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। তার নামে কোনো মামলা নেই, অতীতেও ছিল না।
ডিএনসিসিতে মেয়র পদে অন্য প্রার্থীদের হলফনামাও জমা পড়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে।
জিএম কামরুল:
জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা জিএম কামরুল ইসলাম নিজেকে এমফিল ডিগ্রিধারী বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
পেশা হিসেবে তিনি নিজেকে ব্যবসায়ী দাবি করেছেন। এটিএস সুলশন নামে তার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আছে। তার বার্ষিক আয় প্রায় ২১ লাখ টাকা।
অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ব্যাংকে আছে ২০ লাখ টাকা। ১ কোটি ১২ লাখ টাকার মূল্যমানের যানবাহন, ইলেকট্রনিক, আসবাবপত্র রয়েছে তার।
স্থাবর সম্পদ হিসেবে ৮ বিঘা কৃষি জমি, ৭ কাঠা অকৃষি জমি এবং ৭ কোটি টাকা মূল্যমানের ভবন রয়েছে তার। কোনো দায়দেনা নেই। তার বিরুদ্ধে কখনো কোনো মামলা হয়নি।
আহাম্মদ সাজেদুল হক:
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মেয়র প্রার্থী আহাম্মদ সাজেদুল হক পেশা হিসেবে নিজেকে দন্ত চিকিৎসক হিসেবে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ৫ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৫০০ টাকা, ২ ভরি স্বর্ণ, মোবাইল ২টি ও আসবাবপত্র রয়েছে ৫০ হাজার। এছাড়া তার ব্যাংক ঋণ রয়েছে ৫ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
তার বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৬ হাজার টাকা। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তবে ২০০৮ সালে পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। পরবর্তীতে তা ডিসচার্জও হয়।
শাহীন খান:
পিডিপি মেয়র প্রার্থী শাহীন খান শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে নিজেকে স্বশিক্ষিত বলে দাবি করেছেন। এছাড়া তার কোনো আয় নেই বলেও হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
তার অস্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংকে তিন লাখ টাকা, একটি গাড়ি ও ৩ ভরি স্বর্ণ। স্থাবর কোনো সম্পদ নেই। মামলা কিংবা ব্যাংক ঋণও নেই তার।
মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান:
ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি একাংশের মেয়র প্রার্থী মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএসসি উল্লেখ করেছেন হলফনামায়। তার পেশা রাজনীতি ও ব্যবসা।
বার্ষিক আয় ২ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে চার লাখ টাকার মতো নগদ, ইলেকট্রনিক ও আসবাবপত্র। নিজের বাড়ি না থাকলেও স্ত্রীর নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কখনো কোনো মামলা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২০
ইইউডি/আরএ