এ অবস্থায় এনফোর্সমেন্ট কাজে সম্পৃক্ত কর্মচারীদের দায়িত্ব না দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের আওতাধীন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইসি সচিবকে গত ২৬ ডিসেম্বর পাঠানো হয়।
ইসি সচিব মো: আলমগীর চিঠির ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুই রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) নির্দেশ দেন।
মাদকদব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়- প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সীমিত জনবল নিয়ে মাদকবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মামলা দায়ের, তদন্ত কার্যাদি সম্পাদন, গোয়েন্দা রিপোর্ট সংগ্রহ ও আদালতে সাক্ষ্য প্রদানসহ অন্য দাপ্তরিক কাজ সম্পাদনে সার্বক্ষণিক ব্যস্ত থাকতে হয়। '
'এছাড়া নির্বাচনকালীন পুলিশসহ অন্য আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচনী দায়িত্বে ব্যস্ত থাকায় এই সময়ে অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীরা সহজেই মাদক পাচার ও সেবন বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালায়। যা দেশে মাদক বিস্তারে সুদূরপ্রসারী প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। '
'নির্বাচনের দিন অকস্মাৎ মাদক অনুপ্রবেশ রোধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট কাজে সম্পৃক্ত কর্মচারীদের জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনে দায়িত্ব না দেওয়ার বিষয় বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করা হলো। '
আগামী ৩০ জানুয়ারি দুই সিটির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২০
ইইউডি/এএ