সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কাছে এমন দাবি জানানো হয়। ওই চিঠিতে মোট ২১ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো- নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী যেকোনো প্রার্থীকে নতুন, পুরাতন ফৌজদারি বা যেকোনো মামলায় নির্বাচনকালীন গ্রেফতার থেকে বিরত রাখা, মনোনয়নপত্র দাখিলের পর ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃত প্রার্থীদের জরুরি ভিত্তিতে জামিন দেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা, নির্বাচন কমিশন/রিটার্নিং কর্মকর্তার বিনা অনুমতিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান স্থগিত রাখা, নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটদের তালিকা সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে সরবরাহ করা, প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করার সময় প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে নিয়োগ দান এবং নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে প্রার্থীদের এসব কর্মকর্তাদের তালিকা সরবরাহ, নির্বাচনী প্রচারকালীন সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোনো ধরনের প্রকল্প, কার্যক্রম উদ্বোধন না করা, সরকার নিয়ন্ত্রিত রেডিও এবং টেলিভিশনে নির্বাচন সংক্রান্ত প্রচারে সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ, নির্বাচলাকালীন বেসরকারি টেলিভিশন নির্বাচন সংক্রান্ত সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সাম্যতা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান ও নির্বাচনের আগে সব বৈধ অস্ত্র থানায় জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
এছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্বে কোনো আধা সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী নিয়োগ না করা, নির্বাচনী কেন্দ্রের ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনো নির্বাচনী ক্যাম্প নির্মাণ না করার নির্দেশ প্রদান, নির্বাচনের দিন কেন্দ্র থেকে ৫০০ মিটার এলাকা সশস্ত্র বাহিনীর আওতাধীন বলে ঘোষণা করা, মেয়র পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী নিরাপত্তা বিধানে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষ নিরাপত্তা দল নিয়োগ দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া, প্রতিটি কেন্দ্রে স্বশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে একটি নিরাপত্তা সেল তৈরি করা, সহজেই যেকোনো সহায়তা পাওয়ার সুবিধার্থে সেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফোন নম্বর রাখার ব্যবস্থা করা, কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা দিয়ে নিরপেক্ষভাবে তদারকির ব্যবস্থা করা, পোলিং এজেন্টদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইচ্ছুক দেশি-বিদেশি সব পর্যবেক্ষকদের সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান নিশ্চিতকরণ, সাংবাদিকদের সব ভোটকেন্দ্রে অবাধে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া, ভোট গণনার ক্ষেত্রে অভিযোগ উত্থাপন হলে সঙ্গে সঙ্গে পুনগণনা ব্যবস্থা করা, ভোট গণনার সময় গণমাধ্যমকর্মী ও ভোট পর্যবেক্ষকদের উপস্থিত থাকার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ ও নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগ নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত অবহিত করার জন্য বিশেষ সাক্ষাতের অনুমতিপত্র প্রদান করার দাবিও জানানো হয়।
চিঠিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, আশাকরি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি স্বচ্ছ, স্বতঃস্ফূর্ত, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক, ভীতিমুক্ত এবং সর্বমহলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
ইইউডি/এনটি