প্রতিদিন গড়ে এ হেল্প ডেস্ক বা সহায়তা কেন্দ্র থেকে এ ধরনের সেবা নিচ্ছেন প্রায় তিন শতাধিক নারী-পুরুষ। তবে এসব নারী-পুরুষের বেশির ভাগই আসছেন প্রার্থীদের নিজস্ব ব্যক্তিরা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১০টা। অফিস শুরু হয়েছে মাত্র। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন এসেছেন ইভিএম বিষয়ে সহায়তা নিতে। কার্য়ালয়ের নিচতলায় টেবিলে সাজানো ইভিএম মেশিনের পাশাপাশি কম্পিউটার সরঞ্জাম।
আগতদের কয়েকজন ইভিএম নিয়ে কথা বলছেন সহায়তাকারীদের সঙ্গে। তারা হাত দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন কীভাবে বাটন প্রেস করতে হয়, কীভাবে পছন্দের প্রার্থীকে চিনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে ইত্যাদি।
দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলছেন, ইভিএম নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। এর মাধ্যমে সময় বাঁচবে, কম সময়ে ভোটের ফলাফল আসবে। কোনোভাবেই ভোটের ফলাফল কারচুপি করার সুযোগ নেই।
১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে খলিল নামে একজন ভোটার এসেছেন। তিনি বলেন, আমার একটা কৌতূহল তৈরি হয়েছিল, অনেকে বলেছেন আমি ভোট দিলেও গণনা হবে বিপরীত প্রার্থীর। তবে বিষয়টি আসলে অন্যরকম মনে হলো। আমার ভোট আমি দিলাম, আবার দেখেও নিলাম ফলাফল। এতে ভোট কারচুপির সুযোগ নেই, সময়ও কম লাগলো। ভালো লাগলো এতে সময় বাঁচবে আবার ফলাফলও দ্রুত আসবে।
দক্ষিণ সিটির পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এসেছেন শামীম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার বড় ভাই এ ওয়ার্ডের প্রার্থী। আমরা এসেছি নিজেরা বিষয়টি জেনে ভোটারদের শিখিয়ে দেবো। আমি যদি না জানি কীভাবে আমাদের ভোটাররা ইভিএম বিষয়ে জানবে।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ৩০ ডিসেম্বর থেকে ভোটারদের ইভিএম বিষয়ে সহায়তা/সচেতন করতে একটি হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছি। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সেবা নিচ্ছেন সবাই। এটা চলমান। সবাই এসে দেখে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, ভোট দিয়ে ফলাফলও জানতে পারছেন। ইভিএম নিয়ে ভীতির কিছু নেই, ফলাফল নিয়েও কোনো সংশয় নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
ইএআর/এএ