ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

প্রতীক পেলেন দক্ষিণের সাত মেয়রপ্রার্থী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২০
প্রতীক পেলেন দক্ষিণের সাত মেয়রপ্রার্থী

ঢাকা: আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে স্ব-স্ব প্রতীক বুঝে পেয়েছেন মেয়র প্রার্থীরা। বৈধ সাতজন মেয়রপ্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। সকালে রির্টানিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন প্রতীক বরাদ্দের কার্যক্রম শুরু করেন।



মেয়র পদে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস ‘নৌকা’, বিএনপির ইশরাক হোসেন ‘ধানের শীষ’, জাতীয় পার্টির হাজী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন মিলন ‘লাঙ্গল’, ইসলামী আন্দোলনের আবদুর রহমান ‘হাতপাখা’, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির (এনপিপি) বাহরানে সুলতান বাহার ‘আম’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আকতার-উজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লা ‘ডাব’ এবং গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন ‘মাছ’ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবেন।

প্রতীক বরাদ্দ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস বাদে অন্য সব মেয়রপ্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন৷ তাপসের পক্ষে ছিলেন তার খালাতো ভাই ও আইনজীবী আলী আসিফ খান।

বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রতীক বরাদ্দ চলছে। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৩৫ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

২৫টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮২ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে সবশেষ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।

প্রতীক বরাদ্দের মধ্যদিয়ে প্রার্থীরা এখন আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় যেতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৮ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচারণা চালানো যাবে৷

প্রতীক বরাদ্দের অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীরা এখন আইন মেনে প্রচারণা চালাতে পারবেন। দুপুর দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত মাইকিং করে প্রচারণা চালানো যাবে। এসএসসি পরীক্ষার কারণে মাইকের শব্দ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে৷ যাতে পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিঘ্ন না ঘটে৷ একই সঙ্গে মাইকের ব্যবহারের জন্য অনুমতি নিতে হবে৷ অনুমতি না থাকলে মাইক জব্দ করা যাবে৷

তিনি বলেন, প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন। সেখানে শুধু নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন। কোন ধরনের মিছিল, শো-ডাউন, বড় ধরনের জনসভা ও তোরণ নির্মাণ করা যাবে না। তবে ঘরোয়া বৈঠকে প্রার্থীরা অংশ নিতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, অনেক প্রার্থীর পোস্টার লাগানো আছে বলে অভিযোগ এসেছে। যেসব প্রার্থীর পোস্টার আছে তাদের বিষয়টি তদারকি করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ইতোমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২০
ডিএন/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।