ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচনে সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকতে পারবেন না আমু-তোফায়েল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
নির্বাচনে সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকতে পারবেন না আমু-তোফায়েল

ঢাকা: আসন্ন ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে (উত্তর ও দক্ষিণ) তোফায়েল আহমেদ ও আমির হোসেন আমু সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবনে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) এবং আরেক সদস্য তোফায়েল আহমেদকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাচনে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সংসদ সদস্যরা (এমপি) ঘরে বসে ভোট চাওয়া ছাড়া সব ধরনের কাজ করতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কেএম নূরুল হুদা বলেন- ‘পারেন, পারেন। এমপিরা সবকিছুই করতে পারবেন। কেবল নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা, নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের কোনো প্রচারণা এবং নির্বাচনী কার্যক্রম, তারা করতে পারবেন না। এখানে তো তাদের একেবারে নির্বাচনের বাইরে যে কাজ, সেখান থেকে নিষ্ক্রিয় করার সুযোগ আমাদের নেই। ’

এমপিরা নির্বাচন সংক্রান্ত সমন্বয় করতে পারবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না। নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো সমন্বয় তারা করতে পারবেন না। নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো কাজ তারা ঘরেই হোক বা বাইরে হোক, তারা করতে পারবেন না। এটাই আাচরণবিধিতে বলা হয়েছে। আমরা তাদের বুঝিয়ে বলেছি। ’

‘নির্বাচনের ব্যাপারে যাদের কথা নিষেধ আছে- মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, তারপরে সংসদ সদস্য, সিটির মেয়র...তারা নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে কোনো কথা বলতে পারবেন না। নির্বাচনী এলাকা বলতে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মধ্যে তারা রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করবে, তাদের অন্যান্য কাজ আছে, এগুলোই তারা করতে পারবেন। মিলাদের অংশ নেওয়া-সেটা করতে পারবেন। প্রার্থীরা যাবেন তো... তাদের মিলাদে যেতে পারবেন। নেতা হিসেবে যাবেন সেখানে, কিন্তু প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে কথা না বললেই হলো। ’

তোফায়েল আহমেদ ও আমির হোসেন আমুকে সমন্বয়ক করে গঠিত কমিটি বৈধ কিনা এই প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এটা আমি বলতে পারবো না। আমার কাছে অফিসিয়ালি কিছু আসেনি। কারা এই কমিটির মধ্যে আছে, এটা আমরা জানি না। আমাদের কাছে আসে নাই। ’

তারা আপনাদের সঙ্গে নির্বাচনী বৈঠক করতে পারবেন কিনা- প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘তারা কোনো প্রার্থীর ব্যাপারে আসেনি তো। নির্বাচনী বিধিতে যা আছে, তার ব্যাখ্যা জানতে এসেছেন। উনারা এখানে বলেন নাই যে, প্রার্থীরা বিপদে আছে, তাদের এই করেন, তাদের কীভাবে রক্ষা করায় যায়, বিরোধী দল তাদের ওপর এই করেছে, এইসব বিষয়ে না। বিধির যে ইন্টারপ্রিটেশন, সেটার ব্যাপার এসেছেন। আমরা তা বলেছি। ’

এমপিরা সমন্বয়ক হিসেবে নির্বাচনের ক্যাম্পে বসে সমন্বয় করতে পারেন কিনা-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, তারা পারেন না। আমি জানি না কাদের কীভাবে কী কমিটিতে রেখেছে। আমরা অফিসিয়ালি এখনো পাইনি। এখন যদি পেয়ে থাকি- তাহলে তাদের জানিয়ে দেবো, তারা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। অফিসিয়ালি কিছু পাইনি, যদি চিঠি পাই তবে নিষেধ করবো যে তারা পারবেন না। ’

কেএম নূরুল হুদা বলেন, ‘প্রার্থীর সঙ্গে এমপিরা থাকতে পারবেন কিনা, আইনে এমন ডিটেইলস বাধা-নিষেধ নেই। এখন তারা প্রার্থীর লোক হিসেবে একইসঙ্গে যদি কোনো এলাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে থেকে থাকেন, সেখানে যেতে পারবেন। রাজনৈতিক কথা হতে পারে, যেমন মুজিববর্ষের কর্মসূচি থাকতে পারে। সেখানে তো যেকোনো লোক যেতে পারে। শুধুমাত্র সেখানে নির্বাচনের কোনো প্রচার হবে না। ’

আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
ইইউডি/এসএইচ/একে​

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।