বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসি সচিব।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে দুদকের মামলায় ইশরাকের বিচার শুরু হওয়ার প্রসঙ্গটি উঠলে ইসি সচিব বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা ছিল, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে নির্বাচন কাজ পরিচালনাকারী বা সমর্থকদের যেন গ্রেফতার বা হয়রানি করা না হয়।
‘তাকে (ইশরাক হোসেন) গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এমনকি কোনো বাধারও সৃষ্টি করা হচ্ছে না। এটা প্রক্রিয়াগতভাবে হবে। তিনি নির্বাচন করবেন, প্রচারণাও করবেন। এটার কারণে তো নির্বাচন প্রক্রিয়ার কোনো বাধা নেই। ’
২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সম্পদের তথ্যবিবরণী চেয়ে দুদক ইশরাক ও তার বোন সারিকা সাদেককে আলাদা নোটিশ দেয়। নোটিশে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের নিজ নামে ও তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের ‘স্বনামে বা বেনামে’ বা তাদের পক্ষে অন্য কোনো নামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ-সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎসসহ বিস্তারিত বিবরণ জমা দিতে বলা হয়েছিল।
কিন্তু ইশরাক হোসেন ও তার বোন যথাসময়ে বিবরণী না দেওয়ায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম ২০১০ সালের ২৯ ও ৩০ আগস্ট রমনা থানায় দুটি মামলা করেন। পরে ইশরাক ও সারিকা দুদকের নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করলেও বিফল হন।
২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর এই মামলায় ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। ২০১৯ সালের ৫ মে অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। ওই দিন ইশরাক আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এরপর ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য যান ইশরাক। তখন চার সপ্তাহের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী গত ৯ ডিসেম্বর ইশরাক আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
ইইউডি/এইচজে